গাজায় ফিলিস্তিনিদের হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। রোববার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ খবর দিয়েছে।
২৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সেখানে ৭৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে ৭০ শতাংশ ইসরায়েলি সেনা!
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষের সময় তাদের আরও তিন সৈন্য নিহত এবং অপর এক সৈন্য গুরুতর আহত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।
বিজ্ঞাপন
গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১৫,৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু। একই সময়ের মধ্যে আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজারেরও বেশি। রোববার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
আরও পড়ুন: আল-আকসা মসজিদের খতিবের বাড়িতে ইসরায়েলি অভিযান
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা
এমইউ