ফিলিস্তিন ইস্যুতে একটি নতুন বিবৃতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে তিনি উগ্রবাদী গোষ্ঠী বলে মনে করেন না। এভাবে তিনি হামাসের প্রতি তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
দুবাই থেকে ফিরে প্রেসিডেন্টের বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরদোয়ান বলেন, ‘আমি আমার অবস্থানে অটল আছি। কেউ যাই বলুক না কেন, আমি কখনই হামাসকে উগ্রবাদী গোষ্ঠী হিসেবে মেনে নিতে পারি না।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আল-আকসা মসজিদের খতিবের বাড়িতে ইসরায়েলি অভিযান
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট দুবাই গিয়েছিলেন কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে।
মধ্যপ্রাচ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির বিষয়ে তুরস্কের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, তুর্কি সরকার এ নীতিবাক্য নিয়ে কাজ করে যে আমরা কীভাবে আবার স্থায়ী শান্তির সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, যারা ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলে - তাদের আমি বলেছি যে গাজা নিয়ে কোনো বিতর্ক করা যাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান আসে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমরা যদি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে অগ্রাধিকার দেই, তবে গাজা (ইস্যু) এবং হুমকি অদৃশ্য হয়ে যাবে।
এরদোয়ান আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিন ইস্যু থেকে হামাসকে বাদ দেওয়া কোনো বাস্তবসম্মত বিষয় নয়।’ এভাবে তিনি হামাসের প্রতি তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি 'যুদ্ধাপরাধ' আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি। গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ১৫,২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিমানবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, আল-জাজিরা
এমইউ