কেন ব্রিকস ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেননি মোদি?

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল প্রসঙ্গ এড়াতে?

প্রবীণ রাজনীতিক এবং তৃণমূলের রাজ্যসভার চিফ হুইপ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, ''ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যা এর একটা করণ হতে পারে। এক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়ার থেকে হয়ত একটু দূরত্ব তৈরি করতে চাইছেন মোদি।''

সুখেন্দু শেখর জানিয়েছেন, ''পরের দিকে ফিলিস্তিন নিয়ে মোদি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তবে হামাস নিয়ে ভারতের মনোভাব যথেষ্ট কড়া। আসলে যে মোদি প্রচার পেতে চান, যাকে বিজেপি বিশ্বগুরু বলে দাবি করছে - তার অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এটুকু বলতে পারি, এটা তার চরিত্রবিরোধী কাজ।''

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, ''বইয়ের ভাষায় আমরা এটাকে লো টোন ডিপ্লোমেসি বলি। আসলে এমন একটা পরিস্থিতির মুখে মোদি পড়েছেন, যেখানে পুরোপুরি ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়া মুশকিল, আবার তাদের বিরোধিতাও সম্ভব নয়।''

বিশ্বনাথের মতে, ''ফিলিস্তিনের পুরোপুরি বিরোধিতা করলে আরব দুনিয়া ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ হবে। সেটা ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী। আর ইসারেয়েলের বিরোধিতা করলে পশ্চিমা দেশগুলোর রোষের মুখে পড়বে ভারত। তাই আমার মনে হয়েছে, মোদি লো টোন ডিপ্লোমেসির কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন। সেজন্যই তিনি ওই বৈঠকে যোগ দেননি।''

আরও পড়ুন: এক ঘণ্টায় ২৯ জনকে কামড়ে দিয়েছে কুকুর

গাজা নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটা প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। তাতে ব্রিকস দেশগুলোর অধিকাংশই ভোট দিয়েছিল। কিন্তু ভারত ভোটদানে বিরত থাকে। 

ব্রিকসের বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারত সব সময় উগ্রবাদের বিরোধিতা করে। তারা পণবন্দী করে নিয়ে যাওয়াকেও সমর্থন করে না।

প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র জানিয়েছেন, ''নিঃসন্দেহে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল প্রসঙ্গ এড়ানোটাই বড় কারণ। তার সঙ্গে অন্য কারণও থাকতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এখন মোদির মনোযোগ ভোটে জেতার দিকে। এই ব্রিকস বৈঠক নিয়ে তাই তিনি উৎসাহ হারিয়েছিলেন।''

সূত্র : ডয়চে ভেলে

এমইউ