ভারতের চেন্নাইয়ে এক ঘণ্টায় ২৯ জনকে কামড়ে দিয়েছে একটি কুকুর। এরপর এই কুকুরটিকে মেরে ফেলে স্থানীয় জনতা। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ কুকুরটি চেন্নাইয়ের রায়পুরম এলাকায় পথচারীদের আক্রমণ করে এবং তাদের পা ও গোড়ালি কামড়ে দেয়। এ কুকুরটি মৃত্যুর আগে এভাবে ২৯ জনকে কামড়ায়। কুকুরটির কামড়ে সাধারণ জনগণ ও স্কুলছাত্ররা আহত হন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় পৌরকর্মীরা জানিয়েছেন, মাদ্রাজ ভেটারনারি কলেজে কুকুরটির ময়নাতদন্ত হয়েছে। মৃত প্রানীটির লালায় জলাতঙ্কের জীবাণু মিলেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কুকুরের কামড়ে আহতদের মধ্যে ১০ জন স্কুলছাত্র। বেশ কয়েকজন বৃদ্ধের ওপরও হামলা করেছিল প্রানীটি। তারা পড়ে গিয়ে মাথায় ব্যাথা পেয়েছেন। কুকুরটির কামড়ে ২৪ জনের শরীরে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই উদ্ধার হচ্ছেন না টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক
আহতদের দ্রুত স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের জলাতঙ্কের বিরুদ্ধে কার্যকর ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আরও চারটি ইঞ্জেকশন নিলে বিপদমুক্ত হবেন আক্রান্তরা। গ্রেটার চেন্নাই পৌরসভার কর্মকর্তা জে রাধাকৃষ্ণণন জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর ৫২টি পথ কুকুরকে খাঁচাবন্দী করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রাধাকৃষ্ণণন আরও বলেন, “সোমবার ২৭ নভেম্বর থেকে পূর্ণাঙ্গ কুকুর শুমারি শুরু করছি আমরা। সমস্ত কুকুরকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বছর এ সব কুকুরের ১৫,০০০-১৭,০০০টি বন্ধ্যাকরণ হয়। রায়পুরমে ২৯ জনকে ইমিউনোগ্লোবুলিন দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে এ ঘটনায় গোটা চেন্নাই শহর আতঙ্কিত হওয়ায় মুখ খুলেছেন তামিননাড়ু রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রহ্মণিয়ন। তিনি আশ্বস্ত করেন, গোটা শহরের কুকুরগুলোর জীবাণু পরীক্ষা হবে। বিপজ্জনক পথ কুকুরগুলোকে খাঁচাবন্দী করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেন্নাইতে কুকুরের সংখ্যা গণনা করার জন্য একটি আদমশুমারি করার পরিকল্পনা করেছি। ভয় পাওয়ার দরকার নেই, ডাক্তাররা এসব প্রাণীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।’
মানুষের মধ্যে জলাতঙ্ক সংক্রমণের জন্য প্রধানত কুকুর দায়ী। এ রোগের লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও চিকিত্সা না করা হলে - রোগটি মারাত্মক হতে পারে।
সূত্র : এনডিটিভি
এমইউ