গভীর রাতে বিশাখাপত্তনমের একটি বন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর অন্তত ২৫টি মাছ ধরার নৌকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে জাহাজ নিয়ে আসে ভারতীয় নৌবাহিনী। এছাড়া একাধিক দমকলবাহিনী আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।
জিনিউজের খবরে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪-৫ কোটি রুপির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশাখাপত্তনমের পুলিশ কমিশনার রবি শঙ্কর জানিয়েছেন, গভীর রাতে একটি মাছ ধরার নৌকায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন যাতে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য নৌকাটিকে লাইন ভেঙে সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু বাতাস এবং পানির প্রবাহ এটিকে ফের জেটিতে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্য নৌকাগুলোও পুড়ে যায়।’
আরও পড়ুন: ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির পুনর্নির্বাচন ইস্যুতে নানান শঙ্কা
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নৌকার ডিজেল কন্টেনার এবং গ্যাস সিলিন্ডার আগুনে জ্বালানি যোগ করে এবং পুরো জেটি এলাকা আগুনে পুড়ে যায়। জেলেরা সন্দেহ করছে কিছু অপরাধী নৌকায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কোনও একটি নৌকায় কোনও আমোদ অনুষ্ঠান থেকেও আগুন লাগতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বন্দর থেকে পাওয়া দৃশ্যগুলোতে দেখা গিয়েছে যে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। ঠিক সেই সময়ে জেলেদেরকে আগুনের দিকে অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। এই আগুনে তাদের জীবিকা নির্বাহের উপায় ধ্বংস হয়ে গেছে। কিছু নৌকার জ্বালানী ট্যাঙ্কে আগুন পৌঁছানোর কারণে বিস্ফোরণ ঘটে, যার কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
সিনিয়র পুলিশ অফিসার আনন্দ রেড্ডি জানান, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আগুন লাগে। তিনি আরও বলেন, ‘নৌকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটছে, তাই আমরা লোকজনকে দূরে থাকতে বলছি। ফায়ার ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সেনা আটক বিদ্রোহীদের, ৪৩ সেনা পালিয়ে ভারতে
তিনি যোগ করেছেন, ‘আগুনের কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।’
পুলিশ কমিশনার রবিশঙ্কর বলেছেন, ঘটনার গভীরে যাওয়ার জন্য একটি বহুবিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
একে