বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

শহরের খরচ মেটাতে না পেরে গ্রামে ছুটছে পাকিস্তানিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৪ এএম

শেয়ার করুন:

শহরের খরচ মেটাতে না পেরে গ্রামে ছুটছে পাকিস্তানিরা
ফাইল ফটো/ জিও নিউজ

মুদ্রাস্ফীতি মারাত্মক হারে বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে স্বল্প আয়ের মানুষের। ব্যয় মেটাতে না পেরে শহর থেকে গ্রামে ছুটছেন মানুষ। পাকিস্তানে শহর থেকে গ্রামে যাওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

সালমা ফাহিম তার স্বামী মোহাম্মদ ফাহিমের সঙ্গে জুনের পর থেকে কথা বলেননি। ওই সময় মোহাম্মদ তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে খাইবার পাখতুনখোয়ার নিজ গ্রাম ডালমাতে রেখে এসেছেন। কারণ পরিবারসহ তিনি করাচিতে বসবাস করার সামর্থ্য হারিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


করাচিতে শহুরে জীবনে অভ্যস্ত সালমাকে এখন প্রতিদিন এক ঘণ্টা হেঁটে পানি সংগ্রহ এবং কাঠের চুলায় খাবার রান্না করতে হয়। এটি সালমার জন্য অত্যন্ত কষ্টের। তিনি বলেন, এটি আমি পছন্দ করি না। আমি করাচিতে থাকা পছন্দ করতাম।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে অংশ নেবেন কি পাকিস্তানে ফেরা নওয়াজ শরিফ?

স্ত্রী-সন্তানদের গ্রামে রেখে এসে খুশি নন ৩৩ বছর বয়সী ফাহিমও। তবে তার কাছে কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, গ্রামের বাড়িটি আমাদের, তাই ভাড়া দিতে হয় না। কিন্তু আমি আমার পরিবারের সঙ্গে বাস করা পছন্দ করি। আমি সন্তানদের মিস করি।

মাসে ৩৫ হাজার রুপি আয় করতে পারেন ফাহিম। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে তিনি পরিবারের খাবার, ঘর ভাড়া এবং সন্তানদের পড়ালেখার খরচ মেটাতে পারেন না।


বিজ্ঞাপন


পাকিস্তানের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরে মারাত্মক সংকটের মধ্যে রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাদের মুদ্রা রুপি দিন দিন আরও দুর্বল হচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে শহরের স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর। তাদের অনেকেই টিকতে না পেরে গ্রামে চলে যাওয়ার বা পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো পাকিস্তানও তেল, গ্যাস এবং অন্যান্য পণ্য আমদানির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। করোনাভাইরাস মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী মন্দা ডেকে এনেছে। এছাড়া গত বছর ভয়াবহ বন্যায় সরাসরি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ। এর সবই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ক্ষুধাসূচকে পাকিস্তানের নিচে ভারত

যদিও সরকার বলেছে যে, তারা শেষ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি কমবে বলে আশা করছে। তবে তারা সতর্ক করেছে যে জ্বালানি শুল্কের ঊর্ধ্বমুখী সমন্বয় এবং জ্বালানির দামের বড় বৃদ্ধির কারণে নভেম্বরে দাম বেশি থাকবে।

পাকিস্তানে ইমরান খানকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে শাহবাজ শরিফ সরকার। এরপর নির্বাচনের আগে দেশটিতে ক্ষমতা নিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তবে এসব সরকার পরিবর্তন হলেও পাকিস্তানের জনগনের খুব বেশি উন্নতি হয়নি। বরং সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর