রোববার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বায়ু দূষণে জেরবার দিল্লি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম

শেয়ার করুন:

বায়ু দূষণে জেরবার দিল্লি
ফাইল ফটো/সংগৃহীত

শীত পড়তে না পড়তেই বায়ু দূষণের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে দিল্লিতে। পাঞ্জাবে রেকর্ড মাত্রায় খড় পোড়ানো হয়েছে মঙ্গলবার। তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে ভারতের রাজধানীতে। মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা ১৫ দশমিক আট ডিগ্রিতে নেমেছিল।

একই সঙ্গে বাতাসের গতিও কমে গেছে। ফলে বাড়ছে দূষণ। বুধবার দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা ২০০ একিউআই এর উপরে। পার্শ্ববর্তী নয়ডায় একিউআই আড়াইশোর উপরে চলে গেছে। হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে জায়গায় জায়গায় তা ৩০০ এর আশপাশে পৌঁছে গেছে। খবর ডয়চে ভেলের


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ভারতে মন্ত্রীর বডি ম্যাসাজের ভিডিও ভাইরাল

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আগামী ৩০ অক্টবরের মধ্যে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। দীপাবলির সময়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই বায়ু দূষণ নিয়ে দুইটি বৈঠক করেছে। শেষ বৈঠকটি হয়েছে গত ২৩ তারিখ। ওই দিন একটি অ্যাকশন প্ল্যানও তৈরি করা হয়েছে। দিল্লির মোট ১৩টি এলাকাকে হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লির মেট্রো এবং ইলেকট্রিক বাসের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে তাদের সার্ভিস আরও বাড়ানোর জন্য। মানুষকে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে বাস এবং মেট্রো বেশি করে ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গত এক সপ্তাহে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় ক্ষেতে আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে। শুধু মঙ্গলবার পাঞ্জাবে ৩৫০টি ক্ষেতে খড় পোড়ানো হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও খড় পোড়ানো বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।


বিজ্ঞাপন


বস্তুত, এ বছর বন্যা হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়েছে অনেক। ফলে খড় পোড়ানো এখনো অনেক বাকি আছে বলে কৃষকদের একটি অংশ জানিয়েছে। আগামী কয়েকদিন আরও খড় পোড়ানো হবে।

আরও পড়ুন: নূপুর শর্মাকে নিয়ে যত বিতর্ক

দিল্লিরপরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, 'আবহাওয়া আমাদের হাতে নেই। দীপাবলির সময় পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে এটা ধরে নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করছি।'

পশ্চিমবঙ্গ পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছেন, 'প্রতি বছরই উত্তর ভারতে শীতের সময় এই ঘটনা ঘটে। আগে থেকে সতর্কতা নিলে পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না।'

কল্যাণ জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু এই সময় উল্টো দিকে যায়। অর্থাৎ, উত্তর থেকে সমুদ্রের দিকে যায়। ফলে উত্তর ভারতের সমস্ত দূষণ নিয়ে তা পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের দিকে যাত্রা করে। উত্তর ভারতের দূষণের জের পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের উপরেও পড়ে। এবারের পরিস্থিতি নিয়ে তাই এখন থেকেই তারা উদ্বিগ্ন।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর