ইসরায়েলের অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলি হিব্রু মিডিয়ার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে যে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২,৫০৬ জন আহতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং ৩৫৩ জন গুরুতর আহত।
বিজ্ঞাপন
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।
দুই পক্ষের যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে সীমান্ত বেড়া পার হয়ে ইসরায়েলে ঢুকছে সশস্ত্র ব্যক্তিরা। ইসরায়েলের মধ্যেই কয়েকটি জায়গায় দুই পক্ষের লড়াই চলছে। আকাশ পথে গাজায় মুহুর্মুহু হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি ভেবে নিজেদের লোককেই মারল ইসরায়েলি পুলিশ
ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে যে, শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করেছে হামাস। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা এত বেশি ইসরায়েলি আটক করেছে, যা ইসরায়েলের ধারণার চেয়েও বেশি। এবার হামাসের হাতে এসব বন্দিদের ফেরাতে মিশরের সাহায্য চেয়েছে ইসরায়েল।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, যেসব সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিকে আটক করেছে তাদের মুক্তির জন্য মিশরকে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তেল আবিব।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস। এছাড়া ভারী অস্ত্র নিয়ে স্থলপথেও হামলা চালায় তারা। এ সময় বহু ইসরায়েলি আটক করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন পর্যন্ত দুপক্ষের সংঘাত চলছেই।
প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সবশেষ ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে তাদের ‘শত্রুকে এর চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে, যা তাদের আগে কখনও দিতে হয়নি।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি নিহত হলেই টনক নড়ে বিশ্বের: জাতিসংঘে ফিলিস্তিন
এই হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ হিসেবে বিবৃত করেছেন হামাসের শীর্ষ কমান্ডার মোহাম্মেদ দেইফ।
তিনি বলেছেন যে, ‘আমরা শত্রুদের এর আগেই সতর্ক করেছি। তারা শত শত বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। তাদের অপরাধের জন্য শত শত মানুষ শহীদ হয়েছে।’
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কোনো জবাবদিহি ছাড়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের লাগামহীন অপরাধযজ্ঞের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাদের সময় শেষ।’
একে