হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধের বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তাদের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসূর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে যে, ইসরায়েলি নিহত হলেই গোটা বিশ্বের টনক নড়ে।
পশ্চিম তীর কেন্দ্রিক ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর ইসরায়েলি দখলদারিত্ব অবসানের দিকে জোর দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান। খবর সিএনএনের
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে কিছু মিডিয়া ও রাজনীতিবিদদের জন্যে ইতিহাস তখনই শুরু হয় যখন ইসরায়েলিরা নিহত হয়। তবে ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ এবং ইসরায়েলের কোনো প্রতিনিধি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ছিল না। কারণ তারা কেউই বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নয়।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ গাজা কত বড়, কীভাবে জীবন কাটে ফিলিস্তিনিদের?
স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক বড় ধরনের হামলার নিন্দা জানায় নিরাপত্তা পরিষদের অনেক সদস্য। কিন্তু সবাই একমত না হওয়ায় যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা যায়নি। সবাই একমত না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিনী গ্রুপ হামাস গত শনিবার ইসরাইলে হঠাৎ করেই বড় ধরনের হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষে অসংখ্য হতাহত এবং হামাস ইসরায়েলের অনেককে জিম্মি করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদ রোববার (৮ অক্টোবর) জরুরি বৈঠক ডাকে।
বিজ্ঞাপন
পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতি হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানানোর আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের কাছে মার্কিন সিনিয়র কূটনীতিক রবার্ট উড বলেন, হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে বেশ কিছু দেশ। তবে স্পষ্টতই সবাই নিন্দা জানায়নি। তাদের সম্পর্কে আমি কিছু না বললেও সম্ভবত আপনারা তাদের একটি দেশকে চিনতে পারেন।
এর মধ্য দিয়ে তিনি রাশিয়ার দিকে ইঙ্গিত করেন। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলে প্রায় ৯০ মিনিট বা দেড় ঘন্টা।
কূটনীতিকরা বলছেন, নিরাপত্তা পরিষদ বাধ্যবাধকতাপূর্ণ প্রস্তাব ছাড়া কোনো ধরনের যৌথ বিবৃতির বিষয়টি বিবেচনা করেনি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের ভেতরে সংঘর্ষে হামাস, কোন দিকে মোড় নিচ্ছে যুদ্ধ?
অন্যদিকে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কিছু সদস্য হামাসের হামলার নিন্দার চেয়ে আরও বৃহত্তর বিষয়ে নজর দেয়ার আশা করছে। জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, আমাদের বার্তা ছিল অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া এবং অর্থপূর্ণ আলোচনা শুরু করা, যা কয়েক দশক ধরেই বলা হচ্ছিল। এটি কার্যত অমীমাংসিত সমস্যার ফলাফল।
রাশিয়ার মিত্র চীন নিরাপত্তা পরিষদে বলেছে, তারা একটি যৌথ বিবৃতি সমর্থন করবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ কিছুই বলেনি, এটি অস্বাভাবিক। তিনি এর আগে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হামলার নিন্দা জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
একে