ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী ভেবে নিজেদের লোককে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। রোববার ইসরায়েলের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর অ্যাশকেলনের কাছে রুট ৪ বরাবর এই ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে ওই ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি পুলিশ বলেছে যে, তারা রোববার রুট ৪ হাইওয়েতে ফিলিস্তিনিদের একটি গাড়ি জব্দ করে। এ সময় এক ব্যক্তি কাছাকাছি একটি মাঠের দিকে ছুটছিল। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের
বিজ্ঞাপন
তবে হিব্রু-ভাষার মিডিয়ার প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, লোকটি একজন ইসরায়েলি নাগরিক এবং সন্ত্রাসী নয়।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ গাজা কত বড়, কীভাবে জীবন কাটে ফিলিস্তিনিদের?
এছাড়া রোববার শহরটিতে গাড়িতে চড়ে যাচ্ছিলেন এক ইসরায়েলি। তাকে পুলিশ থামতে বললে তিনি অস্বীকার করেন। এরপর তার দিকে গুলি চালায় ইসরায়েলি পুলিশ। এতে ওই ইসরায়েলি ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পৌরসভা। সিটি হল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আটক থাকা চার বন্দি নিহত হয়েছে। তাদেরকে ইসরায়েল থেকে আটক করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে যে, শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করেছে হামাস। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা এত বেশি ইসরায়েলি আটক করেছে, যা ইসরায়েলের ধারণার চেয়েও বেশি। এবার হামাসের হাতে এসব বন্দিদের ফেরাতে মিশরের সাহায্য চেয়েছে ইসরায়েল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, যেসব সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিকে আটক করেছে তাদের মুক্তির জন্য মিশরকে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তেল আবিব।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে জড়ো রিজার্ভ সেনা, যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস। এছাড়া ভারী অস্ত্র নিয়ে স্থলপথেও হামলা চালায় তারা। এ সময় বহু ইসরায়েলি আটক করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এখন পর্যন্ত দুপক্ষের সংঘাত চলছেই।
শনিবার থেকে এ পর্যন্ত হামাসের হামলায় অন্তত ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪১৩ ফিলিস্তিনি। এখনো ইসরায়েলের ভেতরে অন্তত সাত থেকে আট জায়গায় লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি মিডিয়া।
একে