আফগান শরণার্থীদের বিতাড়নে পাকিস্তানের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে আফগানিস্তান। বুধবার দেশটির তালেবান সরকার পাকিস্তানে অবৈধভাবে বসবাসকারী "বিদেশিদের" বহিষ্কারে ইসলামাবাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে।
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদও পাকিস্তানে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে আফগানদের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি টুইট করে বলেন, আফগান শরণার্থীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আচরণ অগ্রহণযোগ্য। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টাকাকে পেছনে ফেললো আফগান মুদ্রা!
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আফগান শরণার্থীরা পাকিস্তানের নিরাপত্তা সমস্যায় জড়িত নয়। যতক্ষণ না তারা স্বেচ্ছায় পাকিস্তান ত্যাগ করবে, ততক্ষণ ইসলামাবাদের উচিত তাদের সহ্য করা।"
মঙ্গলবার পাকিস্তান সমস্ত "অবৈধ অভিবাসীদের" দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য এক মাসের সময়সীমা ঘোষণা করার পরে তার বিবৃতিটি এসেছে।
বিজ্ঞাপন
রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেন, সরকার অবৈধভাবে বসবাসরত সব বিদেশিদের ১ নভেম্বরের মধ্যে দেশ ছাড়ার সময়সীমা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সময়সীমা শেষ হওয়ার পর সব অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করা হবে।
আরও পড়ুন: কুশতেপা খাল: তালেবানের মেগা প্রজেক্টে বদলে যাচ্ছে আফগানিস্তান
বুধবার বেলুচিস্তানের (তত্ত্বাবধায়ক) তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই বলেছেন, সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে সরকার অবৈধ বিদেশীদের সম্পত্তি এবং ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করবে।
এর আগে রাষ্ট্র-চালিত অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অফ পাকিস্তান জানিয়েছে, মোট ১১ লাখ বিদেশি শরণার্থী পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে। সমস্ত অবৈধ বাসিন্দাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
এমইউ