কারাবাখে আজারবাইজানের সাম্প্রতিক বিজয় ও সফলতা গর্বের বিষয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এ মন্তব্য করেছেন।
বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের ওপর আজারবাইজান পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার কয়েক দিনের মাথায় সোমবার দেশটি সফরে গেছেন এরদোয়ান। তিনি গতকাল আজারবাইজানের নাখিচেভান শহরে প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিজ্ঞাপন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, নাগর্নো-কারাবাখে আজারবাইজান সেনাবাহিনীর অর্জন ‘গর্ব করার মতো বিষয়’ এবং এর ফলে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। ‘এই সুযোগকে কোনো মতে হাতছাড়া করা উচিত হবে না’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডে কোরআন অবমাননার সমালোচনায় তুরস্ক যা বললো
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, আমরা আশা করব আর্মেনিয়া শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য হাত বাড়িয়ে দেবে এবং এ লক্ষ্যে আন্তরিক পদক্ষেপ নেবে।
চারদিকে ভূমিবেষ্টিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে চিহ্নিত। যদিও সেখানকার বেশিরভাগ নাগরিক আর্মেনীয় বংশোদ্ভূত। তারা এই ভূখণ্ডের ওপর আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অঞ্চলটি নিয়ে ককেশাস অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করেছে।
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহে নাগর্নো-কারাবাখের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেখানকার উত্তেজনা স্থায়ীভাবে প্রশমনের লক্ষ্যে আজারবাইজান সামরিক অভিযান চালায়। ২০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া মাত্র ২৪ ঘণ্টার অভিযানে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে দেয় আজারবাইজান এবং আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র সমর্পণে বাধ্য করে।
আরও পড়ুন: কেন দূরত্ব বাড়ছে তুরস্ক-ভারতের?
রাশিয়ার মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নাগর্নো-কারাবাখের হাজার হাজার জাতিগত আর্মেনীয় এখন আর্মেনিয়ায় চলে যাচ্ছে। ইয়েরেভান বলেছে, এখন পর্যন্ত ৬,৬৫০ শরণার্থী আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছে। রাশিয়া বলেছে, নাগর্নো-কারাবাখ থেকে জাতিগত আর্মেনীয়দের নিরাপদে সরে যাওয়ার কাজে রুশ শান্তিরক্ষীরা সাহায্য করছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সোমবারের সাক্ষাতে প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ বলেন, আজারবাইজানের কারাবাখ অঞ্চলে মানবিক ত্রাণ পাঠাতে শুরু করেছে বাকু। ওই অঞ্চলের জাতিগত আর্মেনীয় নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ করা হবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, বিবিসি
এমইউ