নেদারল্যান্ডসে তুর্কি দূতাবাস-সহ অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর কিছু সদস্য রাষ্ট্রের দূতাবাসের বাইরে কোরআন অবমাননার সমালোচনা করেছে তুরস্ক। দেশটি এ "ঘৃণ্য হামলার" তীব্র নিন্দা করে এসব উস্কানিমূলক কাজের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
শনিবার নেদারল্যান্ডে এ কোরআন অবমাননার ঘটনা সংঘটিত হয়। এরপর এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আঙ্কারা এই "উস্কানিমূলক আক্রমণ" ছড়িয়ে দেওয়ার নিন্দা জানায়। অথচ, ইউরোপীয় দেশগুলোতে বাক স্বাধীনতার আড়ালে এসব ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে তুরস্ক, ইরান ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক
এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব দেশে এই ধরনের হামলা হয়েছে, তাদের এখন এই উস্কানিমূলক কাজের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব কর্মকাণ্ডকে ধর্মীয় ঘৃণা বলে মনে করে জাতিসংঘ। এছাড়া এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
তুরস্ক ডাচ কর্তৃপক্ষকে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টাও টুইট করে সাম্প্রতিক কোরআন অবমাননার নিন্দা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: তুরস্কের বিরুদ্ধে ইরাকি প্রেসিডেন্ট যা বললেন
এ বিষয়ে আকিফ চাগাতায় কিলিচ বলেন, এসব অসুস্থ উসকানিমূলক কাজের বিরুদ্ধে এই (ইউরোপীয়) দেশগুলো এবং তাদের শাসকদের এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে!
এছাড়া তুরস্কের পার্লামেন্টের স্পিকার নেদারল্যান্ডের ওই ইসলামবিদ্বেষী নেতার এ ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
এমইউ