রোববার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশের ইস্যুতে অ্যাটক কারাগারে ইমরানের বিচার 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশের ইস্যুতে অ্যাটক কারাগারে ইমরানের বিচার 
আদালতে ইমরান খান (ফাইল ফটো)। ছবি: সামা টিভি

কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশের ইস্যুতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিচার হবে অ্যাটক কারাগারে। সেখানে বিচার পরিচালনার বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি দেশটির আইন মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর একটি বিশেষ আদালত আজ (বুধবার) ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাইফার (কূটনৈতিক বার্তা প্রকাশের ইস্যুতে) মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে।


বিজ্ঞাপন


এদিকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) ইসলামাবাদের পরিবর্তে কারাগারে পিটিআই চেয়ারম্যানের বিচার পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশনের (আবেদন) ওপর তার আদেশ সংরক্ষণ করেছে।

মঙ্গলবার পিটিআই প্রধানের ১৪ দিনের বিচারিক রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। দেশটির আইন মন্ত্রণালয়ের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ জুলকারনাইন অনুরোধ করেছিলেন যে "নিরাপত্তার কারণে" অ্যাটক কারাগারে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

আরও পড়ুন: কেন আন্তর্জাতিক আদালতে আইনজীবী নিয়োগ করলেন ইমরান?

ইসলামাবাদ হাইকোর্টে মঙ্গলবারের কার্যক্রম চলাকালীন ইমরান খানের কৌঁসুলি শের আফজাল মারওয়াতের যুক্তি শুনেছিলেন আদালতের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক।


বিজ্ঞাপন


পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী চাচ্ছেন যে তাকে (ইমরান খান) অ্যাটক কারাগার থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করা হোক। এছাড়া কারাগারে তার অবস্থার উন্নতি এবং ইসলামাবাদের আদালতে তার বিচার চেয়েছিলেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইমরান খান বর্তমানে বিচার বিভাগীয় রিমান্ডে আছেন। তাই তাকে সংশ্লিষ্ট আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ারে রাখা দরকার ছিল।

পিটিআই প্রধানের আইনজীবী শের আফজাল মারওয়াত বলেন, শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে স্থানান্তর করতে পারে। ইমরান খান তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তাকে অ্যাটক জেলে আটক রাখা হয়েছিল এবং তার সাজা স্থগিত হওয়ার পরে তাকে আদিয়ালায় স্থানান্তরিত করার কথা ছিল।

আরও পড়ুন: বিক্রি হচ্ছে পাকিস্তানের সবচেয়ে দামি বাড়ি

উল্লেখ্য, সাইফার মামলাটি একটি কূটনৈতিক নথির সঙ্গে সম্পর্কিত। জানা গেছে যে ওই কূটনৈতিক বার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন ইমরান খান।

তবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের অভিযোগ, ওই কূটনৈতিক বার্তায় ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি রয়েছে। একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও মামলা চলছে।

সূত্র : ডন

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর