বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ইউরোপে বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদন বেড়েছে

ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

ইউরোপে বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদন বেড়েছে

উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে যেতে চান অভিবাসন প্রত্যাশীরা। এছাড়া নিজ দেশে বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা, রাজনৈতিক কারণে যদি কেউ নির্যাতনের শিকার হন বা কারো জীবন হুমকির মুখে থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইউরোপের দেশগুলোতে তিনি সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করতে পারেন। গত বছর ইইউতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় দশ লাখ অভিবাসী আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। ২০১৬ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ আবেদন। রেকর্ড পরিমাণ আবেদন জমা দেন বাংলাদেশিরাও।

২০২২ সালে ইইউ প্লাস (ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড) দেশগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নয় লাখ ৬৬ হাজার অভিবাসী আশ্রয় আবেদন করেন, যা ২০২১ চেয়ে ৫০ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: অভিবাসী কারা?

২২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর এসাইলাম (ইইউএএ) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে গত বছর প্রায় ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় সাময়িক সুরক্ষার আওতায় ইউরোপে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন যা এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত নয়। এজন্য ইইউর পুরো আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের চাপ পড়েছে। ফলে নতুন আগতদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জায়গা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

european-union-bdকোন দেশ থেকে কত আবেদন?


বিজ্ঞাপন


ইইউতে অনিয়মিতভাবে প্রবেশের পর অভিবাসীরা সংশ্লিষ্ট দেশে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারেন। আবেদন প্রথমবার প্রত্যাখ্যান হলে পুনর্বিবেচনার আবারও আবেদন করা যায়।

২০২২ সালে আট লাখ ৮৫ হাজার জন আশ্রয়ের জন্য প্রথমবারের মত আবেদন করেন। আর পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন প্রায় ৮০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ হাজার আবেদনকারী অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক, যা ২০১৫ সালের পর সর্বোচ্চ।

২০২১ সালের ধারাবাহিকতায় গত বছরে আশ্রয় চাওয়াদের দুই তৃতীয়াংশই ছিলেন সিরিয় (এক লাখ ৩২ হাজার) ও আফগান (এক লাখ ২৯ হাজার) নাগরিক। ২০১৬ সালের পর এটি দেশ দুইটির নাগরিকদের সর্বোচ্চ আবেদন। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে আছে তুরস্ক (৫৫ হাজার), ভেনেজুয়েলা (৫১ হাজার) ও কলম্বিয়া (৪৩ হাজার)।

european-union-bdবাংলাদেশ থেকে আবেদন কত?

ইইউ প্লাস দেশগুলোতে ২০২২ সালে অনিয়মিতভাবে প্রবেশকারী ৩৩ হাজার ৭২৯ জন বাংলাদেশি আশ্রয়ের আবেদন করেন, যা সর্বোচ্চ আবেদনকারী দেশের তালিকায় সপ্তম। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ২০ হাজার। সেই হিসেবে আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

আরও পড়ুন: ৩৬ শতাংশ মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে চান

আবেদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়

আবেদনের ফলাফল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় অভিবাসীদের। গত বছর ছয় লাখ ৩২ হাজার আবেদনের সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব হয়েছে। যার মধ্যে তিন লাখ ৭৯ হাজার আবেদনই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। অন্যদিকে, এক লাখ ৪৭ হাজার আবেদনকারী শরণার্থী হিসেবে এবং এক লাখ ৬ হাজার আবেদনকারী সহায়ক সুরক্ষার আওতায় থাকার অনুমতি পেয়েছেন।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর