বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘৭০ শতাংশ থাইরয়েডের রোগ বংশগত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

‘৭০ শতাংশ থাইরয়েডের রোগ বংশগত’

৭০ শতাংশ থাইরয়েডের রোগই বংশগতভাবে বিস্তার করে। এটি সঠিক সময়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন হরমোন ও থাইরয়েড বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (৩০ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েন্স সাইন্স (নিনমাস) আয়োজিত ‘জেনেটিক্স অব থাইরয়েড ডিজঅর্ডার’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থাইরয়েড সোসাইটির সাইন্টিফিক সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানা। এ সময় তিনি বলেন, জন্মের দুই সপ্তাহের মধ্যে থাইরয়েড শনাক্ত করা গেলে, জন্মগত ত্রুটির চিকিৎসা করে একটি শিশুকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো সম্ভব। এজন্য সরকারিভাবে শিশু জন্মের পর স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা দরকার।

>> আরও পড়ুন: থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ

অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা জানান, বিশ্বর উন্নত সব দেশেই জন্মের পর শিশুর সব ধরণের ত্রুটি নির্ণয়ে স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো সেটি না হওয়ায় জন্মগত ত্রুটি শনাক্তে দেরি হয়ে যায়। আবার যখন শনাক্ত হয়, তখন আর চিকিৎসা করে খুব বেশি ফল পাওয়া যায় না। ফলে অনেক শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হিসেবে বেড়ে ওঠে, যা সমাজ ও দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।

সেমিনারে নিনমাসের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সাদিয়া সুলতানা বলেন, শরীরের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে থাইরয়েড। এই অঙ্গ কোনোভাবে ত্রুটিযুক্ত হলে একটি শিশু স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। এখন সব ধরণের থাইরয়েড ডিজঅর্ডার শনাক্ত করা সম্ভব। এজন্য জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ত্রুটিযুক্ত কোষগুলো শনাক্ত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্দিষ্ট জিন শনাক্ত করা যায় তাহলে দ্রুত এবং কম সময়ে ওষুধে একজন শিশুকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: বংশগত হৃদরোগীদের সেবায় বিশেষায়িত ক্লিনিক চালু

এ দিন সেমিনারে বাংলাদেশ অ্যাটোমিক অ্যানার্জি কমিশনের মাধ্যমে জেনেটিক সিকোয়েন্সিং ল্যাব তৈরি হচ্ছে বলে জানান কমিশনের সদস্য ও অধ্যাপক ডা. শামীম মমতাজ ফেরদৌসী। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিনমাস ও চট্টগ্রাম নিনমাসে দুটি ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এসব ল্যাব চালু হলে দ্রুত ত্রুটিযুক্ত জিন শনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. ফরিদুল আলম জানান, জিন যেমন মানুষের শারীরতাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য কেমন হবে সেটিও নিয়ন্ত্রণ করে। এখন সময় এসেছে, জিনোম সিকোয়েন্সিং করে টার্গেট জিনকে নিয়ন্ত্রণ বা অপসারণ করা গেলে বংশ পরম্পরায় যেসব রোগ চলে আসে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

>> আরও পড়ুন: ‘মিডওয়াইফের দক্ষতা সঠিকভাবে কাজে লাগালে বাড়বে স্বাভাবিক প্রসব’

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাটমিক অ্যানার্জি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ করিম, বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মিজানুল হাসান, থাইরয়েড সোসাইটির ট্রেজারার ফাতেমা বেগম, থাইরয়েড সোসাইটির জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা ফজলুল বারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর