সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) জন্য টিকা কিনতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি।
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ইউনিসেফের মাধ্যমে গাভি (গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমুনাইজেশন) থেকে এই টিকা কেনা হবে।
বিজ্ঞাপন
গত রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির ৩০তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
কিন্তু সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি বা ইপিআই’র কাজ কী?
ইপিআই হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কর্তৃক পরিচালিত টিকাদান কর্মসূচি, যার লক্ষ্য সারা পৃথিবীর সকল শিশুকে এ কর্মসূচির অধীন নিয়ে আসা। এটি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে শিশুদের সংক্রামক রোগগুলোর বিরুদ্ধে টিকাদানের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুহার কমানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত একটি চলমান কর্মসূচি।
বিজ্ঞাপন
১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশে এক বছরের কম বয়সি সকল শিশুর বহুল পরিচালিত সংক্রামক রোগ যক্ষ্মা,ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, হাম, পোলিও-মাইটিস এবং মা ও নবজাতকের ধনুষ্টংকার বিষয়ে কাজ শুরু করে।
পরবর্তীতে এর অধীনে ২০০৩ সাল থেকে হেপাটাইটিস রোগের টিকা, ২০০৯ সাল থেকে হিমোফাইলাস রোগের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে নিউমোনিয়ার (ফুসফুস প্রদাহ) টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী শিশুদের টিকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৭৪ সালের মে মাসে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। পরবর্তী ১০ বছর পরে ১৯৮৪ সালে বিশ্বব্যাপী শিশুদের টিকা কর্মসূচির একটি কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণ করে।
১৯৯৯ সালের মধ্যে সমগ্র গরিব দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য GAVI (Global Alliance for Vaccines and Immunization) গঠিত হয়।
২০০৫ সালের মধ্যে ইপিআই’র মাধ্যমে পোলিও এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু শতভাগ কমানো যায়। এছাড়া ১৯৯৯ সালের মধ্যে হামজনিত মৃত্যু অর্ধেক করা সম্ভব হয়। ২০১০ সালের মধ্যে সকল দেশে ৯০ শতাংশ ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনা হয়।
এএইচ

