ফের করোনা ও ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় চাকরি স্থায়ীকরণ চান মহামারির সময় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এক হাজার চার জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স এন্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ারনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের জনবল ব্যানারে লিখিত বক্তব্য দেন মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট আবু সুফিয়ান।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স এন্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ারনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের ধীরে ধীরে ১০০৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকল্পটি গত বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশ্বাসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আরও ৫ মাস কাজ করেছেন। যদিও এই ৫ মাসের বেতন এখনও দেয়নি সরকার।
গত মে মাসে এক চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। এর ফলে এক মাস ধরে প্রকল্পের মাধ্যমে চলমান আইসিইউ সেবা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাস নতুন করে চোখ রাঙ্গাচ্ছে, একইসঙ্গে ডেঙ্গু ফের ভয়াবহ রূপে ফিরছে। তাই আর-টি পিসিআর ল্যাব, করোনা ডেডিকেটেড আইসিইউ সচলে আগের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ১০০৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণে দাবি জানাচ্ছি।
>> আরও পড়তে পারেন
১৮ দিন পর চক্ষু হাসপাতালের সব সেবা চালু
তিনি আরও বলেন, নতুন করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল চাচ্ছে না আমাদের মতো দক্ষ জনবলকে কাজে না লাগিয়ে, ব্যক্তি স্বার্থে আমাদের একই পদে নতুন অদক্ষ লোক নিয়োগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। যা কোনোভাবে সফল হতে দিতে পারি না।
সংবাদ সম্মেলনে দুইটি দাবি তুলে ধরা হয়, ১ হাজার ৪ জন কর্মরত জনবলের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধ ও চাকুরি স্থায়ীকরণ।
এসএইচ/এএস

