রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের জেরে বন্ধ থাকা সেবা কার্যক্রম ১৮ দিন পর পুরোপুরি চালু হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেবা নিতে আসেন রোগীরা, তাদেরকে সেবা প্রদান করছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা।
বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ২৫ মে দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে একটি বৈঠক চলাকালে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া ও অবহেলার অভিযোগ এনে বিষপান করেন সেখানে চিকিৎসাধীন চার জুলাইযোদ্ধা। পরে তাৎক্ষণিকভাবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কামুক্ত হন তারা।
এ ঘটনার তিন দিন পর ২৮ মে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামেন আহত জুলাইযোদ্ধারা। একই দিন বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের একাংশের সঙ্গে সাধারণ রোগীদের হাতাহাতি ঘটে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জুলাই-আহতরা। তখন ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন চিকিৎসক-নার্সসহ অন্তত ১৫ জন। পরে বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম।
হাসপাতাল চালু করা হলেও এখনও কাটেনি আতঙ্ক। জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক ঢাকা মেইলকে বলেন, সকাল থেকে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পুরো চালু করা হয়েছে। তবে চিকিৎসক, নার্সদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক কাটেনি। গত ২৮ মে অনেকে শারীরিকভাবে আহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরেক চিকিৎসক বলেন, সকাল থেকে আমরা হাসপাতালে এসেছি। রোগীরাও আসছেন। সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যাদের প্রয়োজন ভর্তিও দেওয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এসএইচ/ইএ

