দেশে প্রতিবছর গড়ে ১২ হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের অনেকেই প্রাণঘাতী রোগটিতে মৃত্যুবরণ করেন। অথচ একটি মাত্র এইচপিভি টিকার মাধ্যমে এই রোগ শতভাগ নির্মূল করা যায় উল্লেখ করে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে গণসচেতনতা তৈরির তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা মাস উপলক্ষে ইডেন মহিলা কলেজ এবং আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের যৌথ বণার্ঢ্য র্যালি এবং আলোচনায় সভায় বক্তারা এ তাগিদ দেন।
বিজ্ঞাপন
আলোচকরা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার একটি মৃত্যুঘাতী রোগ। প্রতিবছর গড়ে ১২ হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ শনাক্ত হলে চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। একটি মাত্র এইচপিভি টিকার মাধ্যমে এই রোগ শতভাগ নির্মূল করা যায়। এই রোগ নির্মূলে সর্বত্র গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
এর আগে, সকালে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগমের নেতৃত্বে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে কলেজ প্রাঙ্গণে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরে কলেজের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপক মাহফুজা খানম।
সভায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ভয়াবহতা এবং প্রতিরোধের উপায়-এর ওপর প্রেজেন্টেশন দেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সেহেরীন এফ. সিদ্দিকা।
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, অধ্যাপক ডা. কোহিনুর বেগম, অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন, অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আয়েশা বেগম, ইডেন মহিলা কলেজের প্রাক্তন সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, ইডেন মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুফিয়া আক্তার।
এদিকে ক্যান্সার সচেতনা মাসের র্যালি ও আলোচনা সভাটি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ইনসেপ্টার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার (এসএসডি) হোমায়রা ফাতেমা অনন্যা।
এমএইচ/এমএইচএম