ভারতের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত উরফি জাভেদ। এমনিতে প্রায়ই আইনি ঝামেলায় জড়ান তিনি। খোলামেলার পোশাক পরিধানের কারণে তার বিরুদ্ধে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি উরফির গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী চিত্রা ওয়াঘ। মুম্বাই পুলিশ কমিশনারের কাছে তাকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। পাল্টা এবার উরফিই সরাসরি গিয়ে হাজির হলেন থানায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সমন জারি করে অম্বোলি থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল উরফিকে। হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। টানা দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। তারপরেই সামাজিক মাধ্যমে নাম না করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ফেটে পড়েন এ অভিনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
পরপর টুইটে ক্ষোভ উগরে দেন উরফি। তিনি লেখেন, ‘একদিকে ওরা হিন্দু রাষ্ট্র চাইছে। অন্যদিকে নারীদের পোশাকের ওপরে তালিবানি ফতোয়া জারি করছে। হিন্দু ধর্ম যেটা প্রাচীনতম ধর্ম, মহিলাদের প্রতি উদারনৈতিক বলেই পরিচিত। তাহলে কোন সংস্কৃতির কথা বলছেন আপনারা?’

অপর একটি টুইটে উরফি লেখেন, ‘আমি বলছি কোনটা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ নয়। ধর্ষণ, ডান্সবার, একটি মেয়ের পোশাকের জন্য কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর তাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া।’
পাশাপাশি কিছু প্রাচীন মূর্তির ছবি শেয়ার করে উরফি আরও লেখেন, ‘হিন্দুরা বরাবর উদার, শিক্ষিতা। এই ধর্মের মেয়েদের পোশাক নির্বাচনে কোনো বাধা ছিল না। তারা সক্রিয় ভাবে ক্রীড়া, রাজনীতিতে অংশ নিতেন। যৌনতা এবং মহিলাদের শরীর নিয়ে ইতিবাচক মানসিকতা ছিল তাদের। আগে ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে আসুন।’
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কিত আরও খবর
পোশাক পরলেই অ্যালার্জি হয়, তাই নগ্ন থাকি: উরফি
দুবাইতে পুলিশি ঝামেলার সঙ্গে পোশাকের কোনো সম্পর্ক নেই: উরফি
উরফি কি আর কথা বলতে পারবেন না?
কিছুদিন আগে উরফি লিখেছিলেন, তিনি জানেন রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে লেখাটা বিপজ্জনক হতে পারে। কিন্তু তার অভিযোগ, এরা সকলে মিলে তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই এখন হয় তিনি নিজেই নিজের জীবন কেড়ে নেবেন, নয়তো মুখ খুলে ওদের হাতে মরবেন। তবে উরফির দাবি, তিনি কারও কোনো ক্ষতি করেননি। ওরাই তাকে বিনা কারণে নিশানা করছে।
/আরএসও

