পুরুষতন্ত্র নিয়ে বলিউডে চর্চা পুরনো। শোনা যায়, বি-টাউনের পর্দায় ও আড়ালে বেশ প্রভাব বিস্তার করে এটি। এবার তা উসকে দিয়েছেন নুসরাত ভারুচা। তিনি মনে করেন, পুরুষতন্ত্র নারীদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নুসরাত বলেন, “আমাদের দেশ মূলত পুরুষতন্ত্রে বিশ্বাসী। আর তা আমাদের বিনোদুনিয়াতেও একইভাবে ছাপ ফেলছে। আমাদের জনসংখ্যায় গরিষ্ঠতাও পুরুষদের। আর তাই আমাদের একপ্রকার পুরুষতন্ত্র আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। আর সেভাবেই হিন্দি ছবিতেও পুরুষতন্ত্রের ছাপ আমরা ভরপুর দেখতে পাচ্ছি বছরের পর বছর ধরে। একই চিত্র আমাদের হিন্দি ছবিতেও ভরপুর রয়েছে। এই পরিবর্তন এত সহজে সম্ভব নয়। সেটা হতে সময় লাগবে। তবে পরিবর্তন একদিন ঠিকই হবে বলে আমি আশা রাখি।”

এরপর বলেন, “তবে শুধুই যে পুরুষতন্ত্রই বলিউডের ছবিতে প্রাধান্য পায় এমনটা নয়। একইভাবে নারীদের কথা মাথায় রেখেও বহু ছবি তৈরি হয়েছে। সেগুলোও ভালো ব্যবসা করেছে। এরমধ্যে যেমন রয়েছে ‘মিমি’, ‘ছোরি’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘আকেলি’ এবং ‘পিঙ্ক’। কাজেই নায়ককে কেন্দ্র করে নির্মিত ছবিই যে শুধু ভালো ব্যবসাকরবে এমনটা একেবারেই নয়। এছাড়াও যা না বললেই নয়, আমি নিজে বলিউডে কমেডি ঘরানার কাজ দিয়ে জার্নি শুরু করেছিলাম। এরপর বুঝলাম বলিউডে একটা ব্যাপার রয়েছে যে, তুমি যে ঘরানার ছবিতে কাজ করছ সেই ধরনের ছবি ও চরিত্রের সুযোগই বারবার আসে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এরপর যখন আমার কাছে ‘ছোরি’ ছবির সুযোগ আসে আমি সেই ছবির সুযোগ হারাতে চাইনি। কারণ আমার মনে হয়েছিল এই ছবির হাত ধরেই আমি দর্শকের মনে আমার একটা নতুন দিকের পরিচয় ঘটাতে পারব।”
মিডিয়ায় কোনো আত্মীয়স্বজন নেই নুসরাতের। একেবারেই বাইরে থেকে এসেছেন। অভিনয় দক্ষতা দিয়ে করে নিয়েছেন জায়গা। তবে তা এত সহজ ছিল না। কাঠখড় পুড়িয়ে জায়গা করে নিয়েছেন মায়ানগরীতে।

