ধর্মীয় কারণে সিনেমা বয়কটের সংস্কৃতি ভারতে প্রায় প্রতিষ্ঠিত। সালমান, শাহরুখদের এ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এবার খেসারত দিতে হচ্ছে সানি দেওলকে। তার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘জাট’ বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খ্রিস্টানদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগে বিতর্কের শিরোনামে সানি দেওলের ‘জাট’। বিতর্কের সূত্রপাত, গির্জায় দেখানো এক দৃশ্য নিয়ে। যেখানে দেখা গেছে, চার্চে যখন প্রার্থনা চলছে তার মাঝেই সেখানে হামলা চালায় রণদীপ হুদা অভিনীত চরিত্র। ঠিক তার পেছনে দেখা যায় ক্রুশবিদ্ধ যিশুকে। পবিত্র গির্জার ভেতরে এরকম গুন্ডামি দেখানোর জন্যই আপত্তি তুলেছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের মতে, “এহেন দৃশ্য আমাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। গির্জা সবথেকে পবিত্র স্থান। সেখানে কীভাবে হামলার দৃশ্য দেখানো হয়?” তাঁদের অভিযোগ, “দৃশ্যটি ভারতের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে হচ্ছে।”
এদিকে বিক্ষুব্ধ খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সিনেমা হলের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে চেয়েছিল। কিন্তু অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে যুগ্ম পুলিশ কমিশনারের কাছে ‘জাট’ বয়কটের দাবি তুলে এক অভিযোগনামা জমা দেয় ধর্মীয় সংগঠনটি।
এদিকে ‘জাট’ নিয়ে সাংবাদিকদের সানি বলেছিলেন, ‘জাট কোনও ধর্মীয় উসকানিমূলক ছবি নয়, দয়া করে এর গায়ে ধর্মীয় তকমা সেটে দেবেন না। ছবিটি সম্পূর্ণ বিনোদনমূলক। আমরা চাই দর্শকরা ছবিটা উপভোগ করুক, এর বেশি কিছু নয়। আমরা সমস্ত ধর্মকে ভালোবাসি। একজন অভিনেতা হিসাবে ছবির মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সামনে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করি আমরা। তাই দেশের সম্মান খর্ব হবে এমন কোনও বিষয় আমাদের ছবিতে দেখাতে চাই না। ছবির মাধ্যমে আমরা কোনও ধর্মীয় বার্তা দিতে চাই না।’
সিনেমা হলে রমরমিয়ে চলছে ‘জাট’। ছবিটি প্রযোজনা করেছে মিথ্রি মুভি মেকারস এবং পিপল মিডিয়া ফ্যাক্টরি। সানি দেওল ছাড়াও ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন রণদীপ হুদা।