নন্দিত অভিনেত্রী অপি করিম মিষ্টি হাসি, সাবলীল অভিনয় আর মায়াবী চাহনিতে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। মঞ্চ কিংবা টেলিভিশন—প্রাণবন্ত অভিনয় দিয়ে জয় করেছেন অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা। অভিনয়ে অনিয়মিত অপি ব্যস্ত থাকে শিক্ষাদান নিয়ে। সামাজিক ইস্যুতেও বেশ সরব থাকেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুদিন ধরেই অভিনেত্রীর ছবি ও নাম ব্যবহার করে নানা বিভ্রান্তিকর লেখা শেয়ার করা হচ্ছে। চোখ এড়ায়নি অভিনেত্রীর।আজ সোমবার দুপুরের এক ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। ভক্তদের সতর্ক করে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার নামে নানান একাউন্ট/ পেইজ খুলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি ওইভাবে কথা বলি না, লিখিও না।’
অভিনেত্রীর সাদা মাটা জীবনের কথা শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার জীবনযাপন নিয়ে আমার অনেক আরাম। আমার অনেক বন্ধু নেই, আমি অনেক হট্টগোল পছন্দ করি না। পরিবার, কাজ, বই পড়া, ছবি আঁকা, গাছের যত্ন-আমার সারা দিন কেটে যায়। বোন ভাই আত্মীয়স্বজনের বাইরে থাকার কারণে ফোন বিশেষ প্রয়োজনীয় জিনিস। গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও অনেক সময় ব্যবহার করতেই হয়। এর বাইরে আমার সঙ্গে ফোন থাকে খুবই কম। হয় ব্যাগেই পড়ে থাকে, নয়তো বাসায় ফোন রেখেই বাইরে বের হয়ে যাই। ফোনে তেমন ছবিও তোলা হয় না, সেলফির অভ্যাস নেই এবং আমার তাতেই শান্তি।’
বিজ্ঞাপন
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মানুষ আমার নামে নানা অ্যাকাউন্ট বা পেজ খুলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। আপনারা যা লিখেন আমার হয়ে, আমি ওইভাবে কথা বলি না, লিখিও না। আমার লেখার সঙ্গে আমার কাছের মানুষ আর অনেক ভক্ত পরিচিত। তাদেরকে আপনারা ওইগুলো “আমার কথা” বলে বিশ্বাস করাতে পারবেন না।’
ছবি ভালো হলেও দর্শক টানতে পারছে না ‘মায়ার জঞ্জাল’
তার নামে ব্যবহার করে যারা লিখেছেন, তাদের উদ্দেশে অপি লিখেছেন, ‘আপনার যদি এত ইচ্ছা থাকে লিখতে তাহলে নিজের নামে লিখতে বসুন। অন্যকে দিয়ে কেন আপনার মনের কথা বলাচ্ছেন। এত কষ্ট করে লিখছেন, কৃতিত্ব আপনারই প্রাপ্য। মিথ্যার ওপর ভর করে অন্যের নাম দিয়ে লেখার যদি সাহস থাকে, তাহলে নিজের নাম দিয়ে লেখার সাহস দেখান।’
এসব বিভ্রান্তিকর ফেসবুক স্ট্যাটাস অভিনেত্রীর ভক্ত ও সহকর্মীরা বিশ্বাস করবে না বলে উল্লেখ করেন অপি। তিনি বলেন, ‘আপনারা এত কষ্ট করে আমার নাম ভাঙিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে অনুগ্রহপূর্বক নিজেদের বিরত রাখুন! সময় নষ্ট করছেন! তার চেয়ে চোখ বন্ধ করে গল্প শুনুন বা চোখ খুলে বই পড়ুন। প্রযুক্তির অনেক গুণ, ওটা ব্যবহার করি যথাযথভাবে।’
ফিল্মে বন্ধুত্বের কোনো মূল্য নেই, বলেছিলেন মান্না
সবশেষ ওই পোস্টে নিজের সারাদিনের ব্যস্ততার ফিরিস্তি শেয়ার করেন। তার কথায়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আছে কিন্তু তাতে বিচরণ নেই বললেই চলে। এমনকি আমি পারতপক্ষে মোবাইল ফোনে কোনো কনটেন্ট দেখি না! আয়েশ করে টিভিতেই দেখি। ট্রাফিক জ্যামে বসে ইউটিউব থেকে গল্প শুনি, চোখ বন্ধ করে! চোখের আরাম, মনেরও। তাই মনে হয় সময় অনেকটাই বেঁচে যায় আমার।’
ইএইচ/