বিয়েহীন জীবন অনেকের কাছে অর্থহীন বলে মনে হয়। জীবনের নতুন এ অধ্যায় নিয়ে কারও কারও স্বপ্নের শেষ থাকে না। অথচ জীবনে বিয়ের কোনো প্রয়োজনই দেখছেন না বলিউড অভিনেত্রী কিটু গিদওয়ানি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কিটু বলেন, ‘অভিনেত্রী হিসেবে ৩৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। অনেক পরিণত হয়েছি, কিন্তু যতটা কাজ পাওয়া আমার উচিত ছিল, ততটা পাচ্ছি না। আমি শুধু নায়ক-নায়িকার মা হওয়ার কাজ পাই। কিন্তু সরাসরি নাকচ করে দিই। এ ধরনের কাজ বড্ড একঘেয়ে লাগে। নারীকেন্দ্রিক সিনেমার অবস্থা খুব খারাপ। বরং ওটিটির পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো। আসলে ভারতে এখনও পিতৃতন্ত্রকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। নারীদের আরও বেশি করে সুযোগ পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। বেশি বয়সের অভিনেত্রীদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা তো বেঁচে আছি এখনও।’
একাকীত্বকে উপভোগ করেন উল্লেখ করে ৫৭ বছর বয়সী এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি একা থাকতে ভালবাসি। আমি নিজের কাজের প্রতি যত্নশীল, নিজের ভাল লাগাকে গুরুত্ব দিই। জীবনে বিয়ে করার খুব একটা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। নিজেকে বোঝা, নিজের মনকে বোঝা দরকার। নিজের জীবনে শান্তি থাকাটা দরকার। তা না হলে ভাল কাজ করবেন কীভাবে জীবনে? ঘুরে বেড়ান, বিভিন্ন জায়গা দেখুন, এই সমাজের জন্য কিছু করুন। বিয়েই সব নয়।’
আমির খানের সঙ্গে ‘হোলি’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল কিটুকে। পর্দায় মিস্টার পারফেকশনিস্টের ঠোঁটে ডুবিয়েছিলেন। সে বিষয়েও কথা বলেছেন। তার ভাষ্য, ‘আমিরের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ডের একটা চুমু। দু’জনেই পেশাদার অভিনেতা। তখনও কোনও অস্বস্তি ছিল না, এখনও হত না। আসলে আমাদের কাজটা সততার সঙ্গে করে যেতে হবে। সমাজ বা সমাজমাধ্যমে কে কী বলল, পাত্তা দেওয়া উচিত নয়।’
৩৫ বছরের ক্যারিয়ার কিটুর। বলিউডের পাশাপাশি ছোটপর্দায়ও কাজ করেছেন। ‘তৃষ্ণা’, ‘স্বাভিমান’, ‘জুনুন’, ‘এয়ার হোস্টেস’-এর মতো ধারাবাহিকে দেখা গেছে তাকে। সেখানে তার অভিনয় দাগ কেটেছে দর্শকের মনে।