ছোটবেলায় মারা গেছেন মা-বাবা। আপন বলতে ছিলেন এক নানা। অবশেষে তিনিও অভিনেত্রী পরীমণিকে ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। নানা শামসুল হক গাজী যে অভিনেত্রীর কতটা জুড়ে ছিলেন— বিষয়টি খুব ভালো করে জানেন পরীমণির সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
আরও পড়ুন: পরীমণির নানাভাই আর নেই
বিজ্ঞাপন
এদিকে নানাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরীমণি। সংবাদমাধ্যমকেও জানাতে পারেননি অনুভূতি। তবে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা প্রকাশ করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: পরীমণির জন্মদিন যে কারণে উৎসবহীন
নিজের ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন পরী। সেখানে দেখা যাচ্ছে নানার কবরের পাশে বসে আছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এই কবরস্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মারা যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগেনি কোনোদিন।’

বিজ্ঞাপন
এরপর লিখেছেন, ‘এই জীবনে আমার নানার মতো কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন, এই মানুষটা আমার জন্য কী ছিল! আজ হয়ত এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: অসুখ, বিপদ না এলে মানুষ চেনা যায় না: পরীমণি
সবশেষে পরীমণি লেখেন, ‘এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দেবেন, এটা আমার নানুর দোয়া। কত ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই, কত সান্ত্বনায় রেখে গেল আমাকে! জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর...।
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন পরীমণির নানা। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

