ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে প্রতিযোগিতার পরিবর্তে বাজারে পরিণত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাবির ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রদক্ষ।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ প্রিন্সের দাবি, বিভিন্ন দল সমর্থিত প্রার্থী ও প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নাজিরাবাজার, ধানমন্ডি স্টার কাবাব, আজিমপুরসহ ক্যাম্পাসের আশেপাশের হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ডাকসু ভোটারদের নিয়ে গিয়ে আপ্যায়ন করিয়ে নিজেদের দিকে ভেড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
এই ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ নির্বাচনকে প্রতিযোগিতার বদলে বাজারে পরিণত করছে বলে মন্তব্য তার।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন প্রিন্স।
তার আরও অভিযোগ, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে নানা ধরণের খাবার, উপহার সামগ্রী ও উপঢৌকন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ভোটের জন্য অর্থের আদানপ্রদানও হচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
প্রিন্স জানান, শিক্ষার্থীদের জেলাগুলোর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের রীতিমতো ফোন ও মেসেজ দিয়ে দল সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দেখেছি, প্রার্থীদের মধ্যে সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবর্তে ব্যক্তিগত আক্রমণ, অপমানজনক মন্তব্য এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। পণ্যের মতো ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিক্রি করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের আড্ডা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত এ অপপ্রচার শুরু হয়ে গেছে।’
এসময় ছাত্রপক্ষের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি পেশ করেন প্রিন্স। সেগুলো হলো:
১। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে সক্রিয় হয়ে অনৈতিক আপ্যায়ন, উপঢৌকন বিতরণ, অর্থের লেনদেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ ও গুজব ছড়ানো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
২. আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং প্রার্থীদের ভাষার শালীনতা বজায় রাখতে বাধ্য করতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে, স্বাধীনভাবে এবং তাদের বোঝাপড়া অনুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে-সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
আইএসএস/এএইচ
