দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি দিয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে সেই সনদের স্বীকৃতির তেমন কোনো কার্যকারিতা নেই। এবার দাওরায়ে হাদিসের সনদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সরকারি চাকরির সুযোগ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাবর চিঠি দিয়েছে কওমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২০ জুলাই) কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সেখানে তারা আল-হাইআর চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসানের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত পত্র দেন।
বিজ্ঞাপন
মাওলানা মাহমুদুল হাসান তার পত্রে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রগুলোতে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের দেশসেবায় চাকরির সুযোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন জানান:
ক) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষক পদে নিয়োগদান;
খ) ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বিভিন্ন ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগদান;
গ) মডেল মসজিদসহ সরকারি মসজিদ এবং সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের মসজিদের ইমাম ও খতিব পদে নিয়োগদান;
ঘ) সামরিক, আধাসামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীতে ধর্মীয় শিক্ষক পদে নিয়োগদান;
ঙ) জেলখানার ধর্মীয় শিক্ষক পদে নিয়োগদান;
চ) মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) পদে নিয়োগদান।
পত্রে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদানের জন্য মাওলানা মাহমুদুল হাসান দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি’ বিষয়ে এমফিল ও পিএইচডি করার এবং ‘ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি’ ব্যতীত অন্য যেকোনো বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগদানের জোর আবেদন জানান।
শিক্ষা উপদেষ্টা আল-হাইআতুল উলয়ার দাবিসমূহ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আল-হাইআতুল উলয়ার প্রতিনিধি দলের বৈঠকেও তিনি উপস্থিত থাকার কথা জানান।
আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ ফরীদী, মাওলানা আব্দুল বছীর, মুফতি মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা মু. অছিউর রহমান।
জেবি

