তৈরি পোশাকের যেসব পণ্য নগদ সহায়তার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা পুনর্বহাল করেছে সরকার। তবে একই সময় অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রণোদনার হার কমানো হলেও তা আর পুনর্বহাল করা হয়নি। নতুন হারে প্রণোদনা ১ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজী করা পণ্যে কার্যকর হবে। এছাড়া বস্ত্র খাতে নতুন বাজার সম্প্রসারণ সুবিধার তালিকা থেকে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে আবার বহাল করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারের মাধ্যমে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এক নির্দেশনার মাধ্যমে পাঁচটি এইচএস কোডের আওতায় রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রত্যাহারসহ প্রণোদনার হার কমানো হয়। তবে রফতানিকারকরা ওই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
গতকালের সার্কুলারে নগদ সহায়তার হার কমানোর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ৪৩ ধরনের পণ্য রফতানিতে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো ধরনের নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। তখন একবারে নগদ সহায়তা প্রত্যাহার করলে রফতানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এ কারণে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার ক্রমান্বয়ে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আকস্মিকভাবে নগদ সহায়তা কমিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জানুয়ারির ওই সার্কুলার নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারসহ বিভিন্ন পক্ষ। বিশেষ করে ডলার সংকট, সুদহার বেড়ে যাওয়া, বেতন বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকটের মধ্যে এরকম সিদ্ধান্ত না নেওয়ার দাবি জানায় তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএসহ বিভিন্ন সংগঠন। এছাড়া প্রণোদনার হার পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়। যদিও পুনর্বহাল না করে শুধু বাদ পড়া তৈরি পোশাকের প্রধান পণ্য নগদ সহায়তায় যুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, রফতানিতে নগদ সহায়তার হার কমানোর কৌশলের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের প্রধান পণ্যে নগদ সহায়তা একেবারে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেটি না করলে নগদ সহায়তার হার কমালে সব ব্যবসায়ী সংগঠন কমানোর বিরোধিতা করত। তাই তৈরি পোশাকের প্রধান সব পণ্যে নগদ সহায়তা একবারে তুলে নেওয়ায় পাঁচটি এইচএস কোডে রফতানির বিপরীতে প্রণোদনা পুনর্বহাল করা হয়। এর ফলে নগদ সহায়তার হার কমানো নিয়ে কোনো হইচই হয়নি।
বিজ্ঞাপন
টিএই/এইউ
