ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রংপুরের বদরগঞ্জে ইউনুস আলী (৩৫) নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য।
সোমবার (২২ মে) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাবিব।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত শনিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ইউনুস আলী বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিন চৌধুরী অটিজম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেল ৩টার দিকে একই গ্রামের ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউনুস আলী। ওই সময় মেয়েটির বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ইউনুস আলী ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। পরে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ইউপি সদস্য ইউনুস কৌশলে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা ঢাকা মেইলকে জানান, আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ঘটনার সময় স্বামী বাইরে কাজে ছিলেন। আর আমি ছিলাম বোনের বাড়িতে। মেয়েটি বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগে ইউপি সদস্য ইউনুস আলী আমার বাড়িতে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি তার (ইউপি সদস্য) কঠিন শাস্তি চাই।
বিজ্ঞাপন
তবে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউনুস আলী। মুঠোফোনে ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ‘আমি এলাকায় ডিসের ব্যবসা করি। ঘটনার দিন মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিলাম টেলিভিশনের চ্যানেল ঠিক করার জন্য। আমি তার ঘরে ১ থেকে ২২টি চ্যানেল পরিবর্তন করে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। ওই সময়ে আমার সঙ্গে মেয়ের এক চাচিও ছিলেন। অথচ মেয়েটির মা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মানুষের বুদ্ধিতে প্ররোচিত হয়ে মেয়েটির মা আমার বিরুদ্ধে থানায় কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ করেছেন।’
সার্বিক বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু জায়গায় সাঁড়াশি অভিযানও চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রতিনিধি/আইএইচ
