রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ড: গ্রেফতার আরও তিন

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

কুমিল্লায় বোরকা পরে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা মামলার মূল আসামিসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে মামলায় মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (১০ মে) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র‌্যাব ও পুলিশ। এর আগে অভিযানে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও পোশাক উদ্ধার করা হয়।


বিজ্ঞাপন


র‌্যাব-১১-এর কুমিল্লার শাকতলা কার্যালয়ে সকাল ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের কুমিল্লা অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, বোরকা পরে হত্যায় অংশ নেওয়া তিনজনের মধ্যে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

অপর অভিযানে আসামিদের দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগে ৩৩ বছর বয়সী মো. সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে আরেক সংবাদ সম্মেলনে জেলার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


জেলার চান্দিনায় অভিযান চালিয়ে স্কুল ব্যাগের ভেতর থেকে দুটি অত্যাধুনিক পিস্তল, একটি রিভলবার, ২৪টি গুলি, হিজাব, ডেনিমের প্যান্ট পাওয়া যায়।

এসময় মাজহারুল ইসলাম সৈকত নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। এ মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

Arrest

আসামিরা হলেন- মো. সুজন, মো. আরিফ, কালা মনির, শাহ আলী ও দেলোয়ার হোসেন। তারা সবাই যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলারও আসামি।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, অস্ত্রসহ গ্রেফতার মাজহারুল ইসলাম সৈকতের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করব। আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।

কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে হত্যা করা হয়। তিনজন ব্যক্তি বোরকা পরে তাকে গুলি করে হত্যা করেন।

জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।

তিতাস উপজেলায় বাড়ি হলেও তিনি ব্যবসা করতেন পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারে। বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর