রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

মৌলভীবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ১৬ কোটি টাকার জমি উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০৭:১৫ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ছবি: ঢাকা মেইল

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজারে অবৈধভাবে দখল করে রাখা জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপস্থিতিতে প্রায় ১৬ কোটি টাকার জমি উদ্ধার করা হয়েছে।

এসময় কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা মিলিয়ে প্রায় ৮০ দোকান ও স্থাপনা বুলডেজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব স্থাপনা দীর্ঘদিন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল স্থানীয় কিছু লোকজন।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে সহায়তা করে জেলা পুলিশ।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় দোকান মালিকদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের জেএল নম্বর ৩৫ এর দক্ষিণভাগ মৌজায় মুন্সিবাজারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৩.৯০ শতাংশ এবং জেলা প্রশাসনের খাস খতিয়ানের ১.৩০ শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা, আধাপাকা ও পাকা দোকানকোঠা নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল স্থানীয় কিছু লোকজন। এসব দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা সরকারি জায়গা থেকে সরিয়ে নিতে অবৈধভাবে থাকা ব্যবসায়ীদের বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে ওই ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ ঠেকাতে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করতে থাকে। তবে প্রশাসন এব্যাপারে অনড় অবস্থান নেওয়ায় গত সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন অবৈধভাবে থাকা ব্যাবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নিয়ে স্থাপনা ভাঙতে মাইকিং করে।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশের সহায়তায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা শুরু হয়। সব মিলিয়ে অবৈধভাবে দখলে থাকা ৮০ দোকান উচ্ছেদ করে ৬৫.২০ শতাংশ জমি উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

মুন্সিবাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আইয়ুব জানান, কয়েক মাস আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। দোকান ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে গতকাল (সোমবার) মাইকিং করা হয়েছে। সড়ক ও প্রশাসনের জমি ছেড়ে দিতে সবাই বাধ্য। তাই ব্যবসায়ীরা এব্যাপারে বাধা দিচ্ছেন না।


বিজ্ঞাপন


জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের আগে জানিয়েছি। তারা নিজেরা না সরানোর কারণে আমরা উচ্ছেদ করছি। উচ্ছেদ শুরু হওয়ার পর কিছু ব্যবসায়ী মালামাল সরাতে শুরু করেছেন। তবে ভাঙার আগেই কেউ মালামাল সরিয়ে নিতে চাইলে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল জানান, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেছে। জেলা প্রশাসনের খাস ও সড়ক বিভাগের মিলিয়ে ৬৫.২০ শতাংশ জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এখানকার প্রতি শতাংশ জমির বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকা।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর