বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

শরীয়তপুরে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৮ এএম

শেয়ার করুন:

শরীয়তপুরে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ
শরীয়তপুরে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

শরীয়তপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক থেকে টেনে বন বিভাগের ভেতরে নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের বন বিভাগ কার্যালয়ের এরিয়ার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: গাজীপুরে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ: গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত

ভুক্তভোগী অনার্স প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থী জানান, বিকেলে পরীক্ষা শেষে তিনি এক সহপাঠীকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাসের অপেক্ষা করে না পেয়ে দু’জনে হেঁটে বন বিভাগের সামনে পৌঁছালে হঠাৎ কয়েকজন যুবক তাদের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ভেতরে নিয়ে গিয়ে তাকে ও তার সহপাঠীকে মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেন এবং টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার সহপাঠীর গলায় ছুরি ধরে তাকে বন বিভাগের ভেতরে নিয়ে তিন যুবক পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে দুই ঘণ্টা আটক রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সড়কে ছেড়ে দেয় অভিযুক্তরা।

তার সহপাঠী জানান, দু’জন ছেলে আমাদের থামিয়ে জোর করে ভেতরে নিয়ে যায়। পরে আমাদের মারধর করে আমার গলায় ছুরি ধরে আটকে রেখে দেয়। এরপর আমার বান্ধবীকে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে আমাদের ভয় দেখিয়ে সড়কে ছেড়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ‎তালতলীতে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ২ ধর্ষণ মামলা


বিজ্ঞাপন


ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন প্রথমে তাদের দেখতে পান। তিনি বলেন, এক মেয়েকে কয়েকজন যুবক নিয়ে আসছিল। কাছে যেতেই মেয়েটি ভয়ে কথা বলতে পারছিল না। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে ওদের ধরতে গেলে তারা পালিয়ে যায়।

আরেক স্থানীয় সৈয়দ রাব্বি বলেন, মেয়েটি এসে আমাদের পায়ে পড়ে সাহায্য চায়। পরে দ্রুত তাকে দোকানে বসিয়ে পানি দিই। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পুলিশকে খবর দিই।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক খন্দকার রাশেদ আহম্মেদ বলেন, ওই শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে মারধর ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছে। নারী চিকিৎসক এসে পরীক্ষার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

পালং মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, বন বিভাগের এলাকায় একটি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে আমরা ৯৯৯-এ অভিযোগ পাই। তবে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের কোনো আলামত পাইনি। তাকে মারধর করা হয়েছে বলে জেনেছি, মেয়েটি একেক সময় একেক কথা বলে। আমরা এখনও সঠিক তথ্য পাইনি। সঠিক অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর