মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটার কুন্ডুবাড়ির ঐতিহ্যবাহী মেলা এ বছর হবে কি না তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বছর যাতে মেলা না হয়, সে দাবিতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেলাকে ঘিরে ভূরঘাটা বাজারে চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যায়। এতে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ইভটিজিং, মাদক বিক্রি ও অশ্লীল কার্যকলাপের মতো অনৈতিক ঘটনাও ঘটে। এসব কারণেই স্থানীয়রা এ বছর মেলার আয়োজন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ভূরঘাটার ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের পাশে মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার আলেম সমাজসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ অংশ নেন। ঘণ্টাখানেকব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তারা মেলা না হওয়ার পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মাওলানা আবদুল বারী, মাওলানা গোলাম হোসেন, আবদুর রব, দেলোয়ার হোসেন, মুফতি সাইদ হোসেন, ইমরাত সরদারসহ আলেম সমাজের প্রতিনিধিরা। বক্তারা বলেন, “কুন্ডুবাড়ি মেলা ঘিরে এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও মাদকের বিস্তার ঘটে। এতে তরুণ সমাজ বিপথে যাচ্ছে। তাই এই মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। কুন্ডুবাড়িতে পূজা চলবে, কিন্তু মেলা বসতে পারবে না।”

বিজ্ঞাপন
তারা আরও বলেন, মেলার সময় ভূরঘাটা বাজার ও আশপাশের এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়, ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। এসব কারণেই মেলা বন্ধের দাবিতে জনমত গঠনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর কালীপূজার পরের দিন ভূরঘাটা বাজার সংলগ্ন কুন্ডুবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় দুই থেকে তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। শত বছরের পুরনো এ ঐতিহ্যবাহী মেলায় প্রধান আকর্ষণ থাকে কাঠের তৈরি নানা ধরনের ফার্নিচার। এ ছাড়া মাটির তৈজসপত্র, শিশুদের খেলনা ও স্থানীয়ভাবে তৈরি মিষ্টিজাতীয় খাবারের পসরা থাকে মেলা প্রাঙ্গণে।

তবে এ বছর মেলার আয়োজন নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
এজেড

