রোববার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

প্রসাধনীর দোকানে বাড়ছে ভিড়

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০১:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

ঈদে পোশাকের পাশাপাশি প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানেও ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কেউ কিনছেন পছন্দের চুড়ি, কানের দুল ও মেকআপ বক্স। আবার কেউ কিনছেন মেহেদিসহ রূপচর্চার নানান জিনিসপত্র। ক্রেতাদের বড় অংশ এখন ভিড় করছেন প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে।

এবারের ঈদ পড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপের মধ্যে। এ কারণে ঈদের সাজের ক্ষেত্রে সচেতন মেয়েরা মাথায় রাখছেন প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা। চৈত্রের কাঠফাটা রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে হবে ঠিকই, কিন্তু দাবদাহে ভারি মেকআপও ফেলতে পারে অস্বস্তিতে। এবারের ঈদে তাই হালকা ও স্নিগ্ধ সাজসজ্জার প্রতিই তরুণীদের ঝোঁক।


বিজ্ঞাপন


IMG-20250327-WA0053

শরীয়তপুরে প্রসাধনীর বাজারগুলো ঘুরে সে চিত্রই দেখা গেল।

মজিদ জরিনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী লাবনী আক্তার তার ছোট বোনকে নিয়ে এসেছিলেন মার্কেটে। প্রসাধনীর দোকানে খুঁজছিলেন পছন্দের মেকআপ। লাবনীর মতো আরও অনেক মেয়েই এখন গয়না ও প্রসাধনীর বাজারে ভিড় করছেন।

IMG-20250327-WA0054


বিজ্ঞাপন


তাদের পোশাক-আশাক, জুতা কেনা হয়েছে আগেই। শেষ সময়ে প্রসাধনীতে সাজগোজ সম্পূর্ণ করার প্রস্তুতি চলছে এখন। এদিকে পণ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতারা বলেন, মমতাজের পণ্য অনেক আগে থেকেই চলছে। দেশীয় প্রোডাক্ট হিসেবে অনেক ভালো।

আরও পড়ুন

ভরসার ফুটপাতেও বাড়তি দাম, বেকায়দায় নিম্নবিত্তরা

আবার বিক্রেতারা বলছেন, বাড়তি টাকায় বিদেশি পণ্য কিনে মাঝে মধ্যেই আসল নাকি নকল এই দ্বন্দ্বে বিপাকে পড়তে হয় ক্রেতাকে। এ কারণে তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় মানসম্পন্ন দেশি পণ্যের প্রতি ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে।

বিক্রেতারা বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে ভালো প্রোডাক্ট হচ্ছে মমতাজ। কাস্টমাররা মেহেদি হিসেবে মমতাজ মেহেদিকে বেছে নিচ্ছে।

দেশি ব্রান্ডের প্রসাধনীর মধ্যে মমতাজ হারবালের চাহিদাও বেশ। মেহেদিসহ তাদের অন্যান্য পণ্যে সাধারণ ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছেন।

IMG-20250327-WA0055

ঈদে বরাবরই মেহেদিতে হাত রাঙাতে পছন্দ করেন তরুণীরা। এবারও মেহেদির বিক্রি জমজমাট। মেহেদির টিউব ও কৌটার সঙ্গে থাকছে আকর্ষণীয় নকশার চিত্র। চাঁদ রাতে মেহেদি পরার ধুম পড়বে ঘরে ঘরে। গত কয়েক বছর ধরে শরীয়তপুরে বাসায় এসে মেহেদির নকশা করে দিয়ে যাচ্ছেন শিল্পীরা। আগেভাগে তাদের বুকিং দিয়ে রাখতে হয়।

তবে মজিদ জরিনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী লাবনী আক্তার জানালেন, তারা নকশাশিল্পীদের বাসায় ডাকবেন না। ঈদের আগের রাতে সব ভাই-বোন বসে আড্ডা দেবেন আর মনমতো নকশা আঁকবেন হাতে। তাদের কাছে এটা ঈদের আনন্দের অন্যতম উপলক্ষ।

অভিজ্ঞদের পরামর্শ, ঈদের সময় শরীয়তপুরের প্রায় সব বিপণিবিতানের বাইরেই বসে যায় অস্থায়ী প্রসাধনীর দোকান। তবে নকল বা নিম্নমানের প্রসাধনীর ক্ষতি থেকে বাঁচতে নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকেই এসব সামগ্রী কেনা দরকার।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর

News Hub