শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

সাদুল্লাপুরে আসামিদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় বাদী পরিবার

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ছাইফুল ইসলাম (৫২) নামের এক প্রতিবন্ধীর জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে ছাইফুল ও তার স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার উদ্দেশে বেপরোয়া মারধর করাসহ তাদের ছুরিকাহত করেছে প্রতিপক্ষরা।

এ ঘটনায় গাইবান্ধা আদালতে একটি মামলা হলে বাদী ছাইফুলকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে আসামি নুরুল আমিন গংরা। 


বিজ্ঞাপন


বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর-কিশামত অনন্তপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে হামলার শিকার ছাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম এবং ছেলে রোমান কাওছারের চোখে-মুখে আতঙ্কের দৃশ্য। আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তাদের অভিযোগ।

আরও পড়ুন

সাত মাসেও ধরাছোঁয়ার বাইরে মানবাধিকার কর্মীর ওপর হামলাকারীরা

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত খেজের উদ্দিনের ছেলে প্রতিবন্ধী ছাইফুল ইসলাম তার মালিকানা ১৬ শতক জমিতে তামাক আবাদ করেন। এ অবস্থায় সেই জমি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করে আসছিলেন বিমাতা ভাই নুরুল আমিন, মিজানুর রহমান ও রুহুল আমিনসহ অন্যনা ভাতিজারা। এরই একপর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে ছাইফুল ইসলামের তামাকের জমিতে হামলা করে ওই প্রতিপক্ষরা। এসময় তামাক ফসল নষ্ট করে ঘর স্থাপন করে ১৬ শতক জমি দখলের চেষ্টা করেন হামলাকারীরা। এতে বাধা দিতে গিয়ে ওইসব বিমাতা ভাই-ভাতিজারা লাঠি-ছোরা দিয়ে কোপাতে থাকে। এসময় ছাইফুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে রোমান কাওছারকে কুপিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত করেন। একইসঙ্গে ছাইফুলকেও পিটিয়ে আহত করেছে ওইসব ভূমিদস্যু নুরুল আমিন গংরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ছাইফুল ইসলামসহ তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম এবং ছেলে রোমান কাওছারকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী ছাইফুল ইসলাম বলেন, বিমাতা ভাই-ভাতিজারা আমার মালিকানা জমি জবরদখলের জন্য আমার পরিবারের ওপর হামলা করেছে। এতে আমার অপূরণীয় খতিয়ে হয়েছে। এ ঘটনায় আমলি আদালতে ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছি। এদিকে এই মামলার পর থেকে আসামিরা আমার পরিবারকে ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চমর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল আমিনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

সাদুল্লাপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক হাসনাত  বলেন, বাদী ছাইফুল ইসলামের মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

প্রতিনিধি/এসএস  

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর