শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

বগুড়ায় করতোয়া নদী রক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া 
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

‘দখল-দূষণমুক্ত কর, পানিপ্রবাহ নিশ্চিত কর’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ১২৩ কি:মি: করতোয়া নদী রক্ষা সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া শহরতলীর বনানীস্থ এনজিও ফোরাম মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


এএলআরডি নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে ও বাপা বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেজবাউল করিম।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মুহা: আহসান হাবিব, বগুড়া পানি উন্নয়ন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক, বগুড়া পৌরসভার শহর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী মোঃ আল মেহেদী হাসান। 

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রুলফাও রাজশাহী নির্বাহী পরিচালক আফসাল হোসেন, বাপা বগুড়া শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল করিম দুলাল, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, এ্যাড. মোজাম্মেল হক, এ্যাড. সহল হোসেন, সাংবাদিক খোরশেদ আলম, জেলে সম্প্রদায় প্রতিনিধি নিত্যনন্দন দাস প্রমুখ।

সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ফিল্ড এন্ড প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এএমএম মামুন, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলার রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়ক তন্ময় কুমার সান্যাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে করতোয়া নদীর উপর পেপার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহেল রানা। 


বিজ্ঞাপন


প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বলেন, ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে করতোয়া নদীর দখল ও দূষণমুক্তকল্পে  নদীর তীরের দুই অংশে ভ‚মির মাপ-যোগ সম্পন্ন হয়েছে। কিছু অংশের নদী সংস্কার শুরু হয়েছে। একই সাথে এসপি ব্রিজ হতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত নদীর তীরঘেষে ওয়াকওয়ে নির্মাণ চলমান রয়েছে। অচীরেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদকল্পে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় গৃহীত হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, একদা প্রমত্তা করতোয়া নদীতে বাঁচাতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী করতোয়া নদীর দুপাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দূষণমুক্তকল্পে অবিলম্বে জেলা প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেইসাথে করতোয়া তীরবর্তী নদীপাড়ের মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বগুড়া পৌরসভা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে তৎপরতা চালাতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, নদী বাঁচলে আমার সভ্যতা বাঁচবে। আর নদীর অস্থিত্ব বিপন্ন হলে আগামী প্রজন্ম যেমন বিপন্ন হবে তেমনি ভাবে প্রকৃতি আমাদের ক্ষমা করবে না। তাই, আসুন সবাই মিলে করতোয়া নদী দখল ও দূষণমুক্তকল্পে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বোচ্চার হই। করতোয়া নদী রক্ষা সম্মেলনে গোবিন্দগঞ্জ, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর, শেরপুর, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার নদী বিধৌত এলাকার ৪ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন