‘মুই দশ বিঘা ভুঁই আবাদ করো। এলা শ্যালো মেশিন এবং কারেন দিয়া আবাদ করিবার নাগেছে। আর যখন বানের (বন্যা) সময় তখন পানি ছাড়ি দিয়া ডুবি দেয়, আবাদ হয় না হামেরা বাচিমো কেমন করি।’
বিজ্ঞাপন
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচিতে আসা ডিমলার খালিশা চাপানি এলাকার অলিয়ার রহমান এভাবেই মনের ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আগের সরকার ছিল হামাক খালি আশায় আশায় ঘুরাইছে, কিন্তু হামার কোনো কাজ করি দেয় নাই। এই সরকার এ বা কি করেছে হামা তো আশায় আশায় বইসা আছি।’
বিজ্ঞাপন
অলিয়ার রহমান আরও বলেন, ‘হামরা গ্রামের মানুষ কোনো কিছু বুঝি না, হামেরা চাই সঠিকভাবে আবাদ করিবার। হামেরা বুঝি না পানির আইন বুঝি না কোনো নিয়ম কানুন হামেরা চাই উচিত সমাধান।’
আরও পড়ুন
শুধু অলিয়ার রহমানেই নন তার মতো হাজারও কৃষকের অভিযোগের তীর একই দিকে। সবার দাবি তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাসহ তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং পানি সমস্যা সমাধানের স্থায়ী সমাধান চাই সবাই।
তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজের পূর্ব পশ্চিম দুই দিকে দুইটি পয়েন্ট করা হয়েছে পূর্ব দিকে অবস্থান করছেন লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও পাটগ্রামের উপজেলা বিএনপিসহ স্থানীয়রা। পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে নীলফামারী জেলা বিএনপির পাশাপাশি তিস্তা পারের সাধারণ মানুষ।
প্রতিনিধি/এসএস