বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

রঙিন ফুলকপি চাষ করে ছাবিনার মুখে হাসি

ফরমান শেখ, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

নারী উদ্যোক্তা ছাবিনা খাতুন। পেশায় গৃহিনী। বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ফলদা পূর্বপাড়ায়। তিনি নিজ বাড়ির আঙিনার ১৫ শতাংশ জমিতে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রদর্শনীমূলক রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন। কৃষকদের মাঝে ফেলেছেন ব্যাপক সাড়া। ছাবিনা তার অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগে তিন রঙের ফুলকপি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

উপজেলা বিভাগের সহযোগিতায় তার এমন সফলতা দেখে আগ্রহ প্রকাশ করছে স্থানীয় কৃষকসহ অন্যান্য নারীরাও। এছাড়া তার এই রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে আসে স্থানীয় কৃষকসহ আশপাশের লোকজন। রঙিন ফুলকপি দেখতে এসে ছাবিনা খাতুনের থেকে কেউ ফুলকপি কিনছেন, কেউ পরামর্শ নিচ্ছেন, কেউ রঙিন ফুলকপির সঙ্গে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ করছেন। ছাবিনার সাফল্যে খুশি স্থানীয় কৃষি বিভাগও।


বিজ্ঞাপন


thumbnail_kopi-photo

রঙিন ফুলকপি চাষি ছাবিনা খাতুন জানান, উপজেলা কৃষি অফিসার মোখলেছুর রহমান স্যারের পরামর্শে ও কৃষি অফিস থেকে নতুন জাতের রঙিন ফুলকপির ২ হাজার চারা, জৈব সার, পোকাদমন কীটনাশকসহ সব ধরণের সহযোগিতায় প্রদর্শনীমূলকভাবে বাড়ির পাশে ১৫ শতাংশ জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করেছি। এতে ৩ রঙয়ের ফুলকপি রয়েছে। কীটনাশক-সার ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

মসুর ডাল চাষে কৃষকের ১২ আনাই লাভ

তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৯০ থেকে ৯৫ দিনের মধ্যে বাজারজাত করতে পারছি। রঙিন ফুলকপি দেখতে এলাকার লোকজন আমার জমিতে আসছেন ফুলকপি দেখার জন্য। তাছাড়া বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায়। বর্তমান বাজারে পিস ২৫/৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি হয়েছে। আরও রয়েছে। তবে দাম বেশি পেলে আরও বেশি লাভবান হতে পারতাম।


বিজ্ঞাপন


thumbnail_kopi-photo-2

স্থানীয় কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, রঙিন ফুলকপির নাম অনেক শুনেছি। কিন্তু স্ব-চোখে দেখতে পারিনি। যখনি জানতে পারলাম পাশের গ্রামে ছাবিনা খাতুন নামে এক নারী উদ্যোক্তা রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। এ খবরে ফুলকপি দেখতে আসছি। হলুদ, বেগুনি ও সবুজ রঙয়ের রঙিন কপি রয়েছে। তার থেকে রঙিন ফুলকপি চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আগামীতে আমিও এই রঙিন ফুলকপি চাষ করব আশা করছি।

thumbnail_kopi-photo-3

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান জানান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নতমানের রঙিন ফুলকপি উৎপাদন প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ফলদা পূর্বপাড়ার উদ্যোক্তা ছাবিনা খাতুন নামে এক নারী আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে দুই হাজার রঙিন কপির চারাসহ সব ধরণের কীটনাশক ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা প্রদান করা হয়।

নারী উদ্যোক্তা ছাবিনা খাতুনের রঙিন ফুলকপি খেত পরিদর্শনে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর