ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী করা হয়েছে মো. দেলোয়ার হোসেনকে।
দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। শিক্ষাজীবন শুরু হয় বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে এলএলবি অর্জন করেন।
বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক জীবনে দেলোয়ার হোসেন ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ শাখার সেক্রেটারি (১৯৯৯-২০০০), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি (২০০৭-২০০৯) এবং ২০১২-২০১৩ সেশনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর গেন্ডারিয়া থানা জামায়াতের আমির (২০১৮-২০১৯), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি (২০২০-অদ্যাবধি) ছিলেন। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা যায়, দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক ভালো থাকায় দেলোয়ার হোসেনকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দলের প্রার্থী জামায়াত। দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সহায়তা করা এবং উন্নয়নমূলক কাজে আগ্রহী হওয়ায় এলাকায় তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে বলে দাবি করেন দলটির সমর্থকরা।
বিজ্ঞাপন
রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের ব্যাপক রোষানলে পড়েন দেলোয়ার হোসেন। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি থাকাকালীন (২০১২-২০১৩) ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার তাকে গ্রেফতার করে এবং টানা ৬০ দিন রিমান্ডে রেখে নির্যাতন করে। এই সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়।
দেলোয়ার হোসেনের সমর্থকরা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং তিনি নির্যাতিত নেতা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা, জনসেবা ও উন্নয়নমূলক কাজের প্রতি আগ্রহ তাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রেখেছে।
প্রতিনিধি/এজে/এমআর