বিএম ডিপো ট্রাজেডিতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে (চমেক) নেওয়ার পথেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএম ডিপোর আশপাশে কোনো হাসপাতাল নেই। ফলে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা ব্যক্তিদের নিতে হয়েছে চমেকে। বিএম ডিপো থেকে চমেকের দূরত্ব প্রায় ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে কখনো কখনো জ্যামে পড়তে হয়।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা কমপ্লেক্সও এখান থেকে অনেক দূর। প্রতিটি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থাকলেও তা শুধু নামে। চট্টগ্রাম মেডিকেল চক বাজারে। বিএম ডিপো থেকে চমেক হাসপাতালে পৌঁছাতে অনেক বেশি সময় লাগে। পুরো রাস্তায় অসহনীয় জ্যাম।
ইমরান হোসেন। কাজ করেন চট্টগ্রামের একটি চকলেট কোম্পানীতে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধু বিএম ডিপো নয়, এখানে আরও অনেক ডিপো রয়েছে। ডিপোগুলো কেমিকেলে ভর্তি। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিএম ডিপোর পুনরাবৃত্তি। এই এলাকায় কোনো হাসপাতালও নেই। ইউনিয়নভিত্তিক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থাকলেও কোনো কাজে আসে না এগুলো।
স্থানীয় এই তরুণের মতে— প্রতিটি উপজেলায় অন্তত একটি করে বার্ন ইউনিট থাকা দরকার। কলকারখানাগুলোতে কেমিকেল রাখার জন্য নীতিমালা প্রনয়ণ করা জরুরি। যেখানে সেখানে কেমিকেল রাখা খুব বিপদজনক। এর আগে ঢাকার নিমতলী এবং চকবাজারেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাগুলো থেকে আমরা শিক্ষা নেইনি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।