সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হেলিকপ্টার দেখতে গিয়ে গুলিতে নিহত সুমাইয়া আক্তার (২০) এর লাশ দাফনের ৪ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তারের উপস্থিতিতে মিজমিজি পাইনাদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কবরস্থান থেকে পুলিশ লাশটি উত্তোলন করেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার জানান, আদালতের নির্দেশে নিহত সুমাইয়া আক্তারের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মারদেহ একই কবরস্থানে আবার দাফন করা হবে।
নিহত সুমাইয়া আক্তার বরিশাল জেলার মেহদীগঞ্জ থানার মৃত সেলিম মাতব্বরের মেয়ে। তার স্বামীর নাম জাহিদ হোসেন। সুমাইয়া আক্তার আড়াই মাসের কন্যা সন্তান সুয়াইবাকে নিয়ে পাইনাদী নতুন মহল্লা দোয়েল চত্তর এলাকায় ভগ্নিপতি বিল্লাল হোসেনের বাসায় থাকতেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই পাইনাদী নতুন মহল্লায় ৬ তলা ভবনের বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সুমাইয়া আক্তারের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি মো. বিল্লাল বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে ২২ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে