‘নবান্ন’ শব্দের অর্থ ‘নতুন অন্ন’। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটার পর নবান্ন উৎসব শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে প্রতিবছরের ১৭-১৮ নভেম্বর নবান্ন মেলা হয়।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত ঘোড়াঘাট থানা সংলগ্ন পুরাতন বাজার গলিতে আনুমানিক ৫০ বছর ধরে হয়ে আসছে এই ঐতিহ্যবাহী নবান্ন মেলা।
বিজ্ঞাপন
নবান্নের এই মেলাকে ঘিরে আশপাশের গ্রামের গ্রামীণ মানুষের মধ্য এক অন্য রকম উৎসব কাজ করে। এ মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে দোকানিরা ভোরবেলা এসে মাটির তৈরি নকশি পাতিল, মাটির ব্যাংক, পুতুলসহ নানান রকম তৈজসপত্র তৈরি করে, কলা, আখ, আমন ধানের নতুন চাল, কাউন, কেশোরসহ নানা রকম মুখরোচক খাবারের দোকান দিয়ে নানান জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেন।
বিজ্ঞাপন
মেলাতে আসা এক দোকানি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই নবান্ন মেলাতে মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করি। এখানে মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিল, ঢাকনা, প্রদীপ, দিয়া, ছোট বাটিসহ নানা রকম মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করি আমরা। তবে আগের মতো আর তেমন এই বিক্রি হয় না, এই নবান্ন উৎসবকে ঘিরে একটা আমেজ থাকত সেটি আর নেই।
স্থানীয়রা জানান, এই দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব পালিত হয়। এই মেলা অনেক দিনের পুরনো। এই মেলায় বিভিন্ন রকমের দোকান বসতো যেমন বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র, মাটির তৈরি তৈজসপত্র, বড় বড় মাছের দোকান, হরেক রকমের মিষ্টান্ন দোকান বসতো। বছরে এখানে এক দিনের জন্য নবান্নের মেলা হয়। আর এই মেলাতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষেরা আসেন। তবে কালের বিবর্তনের ফলে বাঙালি ঐতিহ্য এবং এই ঐতিহ্যবাহী নবান্ন মেলাটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি/এসএস