সরকারি ত্রাণের কম্বল চুরির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টুকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় মাদক কারবারের অভিযোগে তার পাঁচ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে তাদেরকে আলমডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত
এ ঘটনায় আটকরা হলেন - আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, তার সহযোগী হাশেম মালিথার ছেলে মেহেদী হাসান ও রাজা বাবু, রইচ উদ্দীনের ছেলে শাহজাহান, কামালপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে বাপ্পি রহমান ও কুমারী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে সোহেল।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে কুমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি দল। এ সময় ভবনের দ্বিতীয় তলার কক্ষ থেকে তিন বোতল ফেনসিডিল, দু’টি মদের খালি বোতল, খেলনা পিস্তল, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, দু’টি হুক্কা, ৪৪টি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, গাঁজা সেবনের সরঞ্জামসহ নগদ ১২ হাজার ৮৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৫০টি সরকারি ত্রাণের কম্বল উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর টিম।
বিজ্ঞাপন
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল তাদেরকে থানা হেফাজতে দিয়েছেন। দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ