হাতিয়ার নলচিরা-জাহাজমারা প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে গত তিন মাসে অতিবৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার দক্ষিণ পাশ এবং সোনাদিয়া বাংলাবাজারের উত্তর পাশে কয়েকটি গাছ সমূলে রাস্তাসহ এর একাংশ ধসে পড়েছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে যানচলাচল করছে।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলচিরা-জাহাজমারা-সিডিএসপি বাজার পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটারের প্রধান সড়কটির প্রায় বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে অনেক সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা।
বিজ্ঞাপন
সড়কের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে খানাখন্দের কারণে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ধাপে ধাপে ভারী বর্ষণে সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দের ফলে চলাচলরত যানবাহন ধীরগতিতে চলছে।
এ সড়ক দিয়েই নৌ-ঘাট থেকে উপজেলার সব পণ্যবাহী নসিমন, লরি, ভ্যান, ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি ও অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এ সড়কের গর্ত ও খানাখন্দ মেরামত করার জোর দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সিএনজি চালক শিবলু ও শাহাদাৎ বলেন, ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটছে, গাড়ির বডি ও নাট বল্টু ছুঁড়ে যাচ্ছে। গর্তগুলো রাতের বেলা মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ গর্ত ও খানাখন্দগুলো মেরামত না করায় প্রায়ই ছোট-বড় যানবাহন উল্টে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সোহরাব নামের একজনে বলেন, রাস্তার একাংশসহ গাছ ধসে পড়ার একমাস গত হলেও এখন পর্যন্ত এর মেরামতের ব্যবস্থা নেননি কেউ।
সমাজকর্মী দুলাল উদ্দিন বলেন, খানাখন্দের কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব গর্তে অনেক সময় গাড়ি আটকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে রোগী নেওয়া-আনা করাও দুষ্কর হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এ সড়কের খানাখন্দ ও গর্তগুলো মেরামত করার দাবি জানাচ্ছি।
সড়কটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশটুকু মেরামত প্রসঙ্গে সওজ এর হাতিয়া সেকশন অফিসার শওকত জানান, ঝুঁকি হলেও আমাদের করার কিচ্ছু নেই, সরকারের টাকা-পয়সা নেই। টেন্ডার হওয়া ছাড়া কাজ হবে না।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ উইং) শোয়েব আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আঞ্চলিক পর্যায়ের ছোট সমস্যা সমূহ দেখার দায়িত্ব আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের। তারা খেয়াল না দিলে আমাদের কাছে মেসেজ আসলে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি।
প্রতিনিধি/এসএস