বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ বরিশালের কলেজ শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাত পৌঁনে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: হাসিনার ফাঁসির দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
রোববার দুপুরে তার বড় ভাই রেজাউল করিম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রোববার জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট ঢাকার ঝিগাতলা এলাকায় মিছিল করার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সঙ্গে থাকা আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন।
নিহত রিয়াজ হোসেন বরিশালের হিজলা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হক রাড়ীর ছেলে। তিনি মুলাদী সরকারি কলেজের স্নাতক শ্রেণির শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন রিয়াজ।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল গণি জানান, আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে রিয়াজ সামনের সারিতে ছিলেন। গত ৪ আগস্ট ঢাকার ঝিগাতলা এলাকায় মিছিলে অংশ নেয় রিয়াজ। তখন তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। এরপর অন্যান্য আন্দোলনকারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: নোবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বাসভবন ঘেরাও
হিজলা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহসিন সিকদার জানান, রিয়াজ ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার এ ত্যাগ জাতি ভুলবে না। রিয়াজ উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। গত ৩১ জুলাই থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে ঢাকায় চলা ছাত্র আন্দোলনে ঝিগাতলা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ৪ আগস্ট সকালে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ১৭ আগস্ট রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড়ভাই রেজাউল করিম জানান, মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ায় রিয়াজের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। গত কয়েক দিন ধরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউতে) রাখা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ।
প্রতিনিধি/ এমইউ