বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা 'রেজিস্ট্যান্স উইক' কর্মসূচির আওতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি,ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
মিছিল শেষে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে সেখানে সমাবেশ করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের 'খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই - ফাঁস চাই', 'স্বৈরাচারীর ফাঁসি চাই', ''আমার ভাই কবরে, খুনিরা কেন বাহিরে', 'ইবি ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্রলীগের ঠিকানা', 'সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও'—সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নিরীহ ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবি জানান। এছাড়া তারা সেখানে চারটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট’ শেখ হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন; সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর ‘পরিকল্পিত হত্যা-ডাকাতি-লুণ্ঠনের’ মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা ও সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া। ছাত্র জনতার ওপর করা মামলা অপসারণ করে নিপীড়নকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করারও কথা বলেন তারা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
এছাড়া প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এত দিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন - তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে। দ্রুত দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। আমাদের হাজারো ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে চব্বিশের এই নতুন স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। চব্বিশের পরাজিত শক্তিরা এই স্বাধীনতাকে ধূলিসাৎ করার পায়তারা করছে। রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, আমাদের লড়াই-সংগ্রাম এখনও থেমে যায়নি। যারা পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে তাদেরকে ছাত্র-জনতা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে যারা সুবিধা নিতে চাইবে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিনিধি/ এমইউ
