চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (মডেল) হাসপাতাল। মাতৃত্বকালীন সেবায় ইতোমধ্যে দেশসেরা হয়েছে কয়েকবার। এ হাসপাতালটিতে ইনডোর ও আউটডোর মিলে প্রতিদিন একশ থেকে দেড়শ রোগী চিকিৎসা নেন। কেউবা হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসা নিতে। কেউবা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। হাসপাতালটি উন্নত হলেও উন্নত হয়নি হাসপাতালটির পরিবেশ।
চৌগাছা উপজেলার এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আশপাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে রোগীরা আসেন। এ হাসপাতালটি চিকিৎসার বড় মাধ্যম হলেও সম্প্রতি হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের আনাগোনা বেড়েছে। হাসপাতালটির নিচতলায় অবাধে কুকুর চলাফেরা করলেও কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও যেন নির্বিকার! অথচ বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। কুকুরের ভয়ে অনেকে বিকল্প স্থান ব্যবহার করছেন।
বিজ্ঞাপন
চৌগাছা উপজেলার স্বাস্থ্য কমিটির এক সদস্য বলেন, সম্প্রতি চৌগাছা উপজেলা হাসপাতালে একটি মিটিংয় হয়েছে। সেখানে চৌগাছার স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিটির সদস্যরা। বিভিন্ন অনিয়মের কথাও প্রকাশ পেয়েছে। হাসপাতালের পরিবেশ ঠিক থাকছে না বলে কথা উঠেছে এ মিটিংয়ে।
রোগীর স্বজন সাজেদা আক্তার বলেন, আমরা হাসপাতালের বহির বিভাগে যাওয়ার সময় কুকুর দেখে ভয় পাই। তিনটি কুকুর মারামারি করে একটি পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে আছে দুটি কুকুর। তাড়ালেও সরে না। পরে অন্য পথ দিয়ে আমরা বের হয়।
আরও পড়ুন
দুজন রোগী জানিয়েছেন, এত বড় একটি হাসপাতাল আর সেখানে অনায়াসে কুকুর ঢুকছে, তবে কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই! হাসপাতাল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসে বসে বেতন নেন, তারা কোনো কাজ করেন না। কুকুরগুলো এই হাসপাতালটির পরিবেশ নষ্ট করছে, কাউকে কাউকে কামড়াতে যাচ্ছে। তবুও এ কুকুরগুলো তাড়াতে কিংবা হাসপাতালে না ঢুকতে দেওয়ার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো আগ্রহ নেই।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লুৎফুর নাহার লাকি বলেন, হাসপাতালে লোকবল কম। তিনজন ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। এর বেশি কিছু করার নেই।
প্রতিনিধি/এসএস