ভোলার লালমোহনে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বিবাহিত এক ছেলের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা বাঁধা দিলে সবার অগোচরে নিজের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তানজিলা আক্তার রুপা (১৮) নামের ওই শিক্ষার্থী।
শনিবার (২২ জুন) বিকেলে লালমোহন থানা পুলিশ উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বিজ্ঞাপন
লালমোহন থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান ঢাকা মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তানজিলা আক্তার রুপা নামের ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি কলেজে পড়াশোনা করতেন। তার বাবার নাম আব্দুল হাই ওরফে তছির।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তানজিলা আক্তার রুপা স্থানীয় একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ছেলেটি বিবাহিত হওয়ায় রুপার পরিবার একাধিকবার রুপাকে নিষেধ করেছিল। এরপরও রুপা লুকিয়ে লুকিয়ে ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলত। এ কারণে প্রায়ই বাবা-মা তাকে গালমন্দ করত৷ কোনোভাবেই তাকে পরকীয়া প্রেম থেকে সরাতে পারেনি। এ নিয়ে রুপার সঙ্গে তার বাবা-মায়ের মনোমালিন্য হয়।
বিজ্ঞাপন
এরই জেরে শনিবার দুপুরের দিকে রুপা তার রুমে থাকা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রুপার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন
ঘটনাটি মর্মান্তিক উল্লেখ করে ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। রুপার মৃত্যুর বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস