বগুড়ায় ঘুমের ওষুধ সেবন করে এক নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাত ১১টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারের আত্মহত্যা
ওই নারী চিকিৎসকের নাম ডা. রুমানা শারমিন রূম্পা (৪২)। তিনি বগুড়ার সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় নিজ বাড়িতে আনা হবে।
চিকিৎসক রুমানা শারমিন রূম্পা শহরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাউয়ুমের মেয়ে এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা ও বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক সাজেদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি স্বামী ও এক সন্তানসহ বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় বসবাস করতেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিষপানে সিএনজি চালকের আত্মহত্যা
স্থানীয়রা জানান, বৃন্দাবনপাড়ার ‘জমিদার ভিলা’ নামক বাসাটি ডা. রূম্পার পৈত্রিক নিবাস। তার বাবা প্রয়াত আব্দুল কাইয়ুম খলিফা জমিদার পরিবারের সন্তান।
পুলিশ জানায়, ১৯ জুন রাতে পরিবারের সবার অজান্তে চিকিৎসক রুমানা নিজ ঘরে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপর চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রুমানাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, রুমানা শারমিন রূম্পা প্রাণচঞ্চল একজন ব্যক্তি ও চিকিৎসক ছিলেন। তার ব্যক্তি জীবনে কোনো সমস্যা ছিল বলে কখনও আমরা অনুমান করতে পারিনি।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, মৃত চিকিৎসকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে বগুড়ায় আনা হবে। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ